মঙ্গলবার (০৭ মে) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেছেন তা বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত ও সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। দেশনেত্রীর মুক্তি নিয়ে তিনি যা বলেছেন তাতে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। খালেদা জিয়ার মুক্তি যদি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে তাহলে সেটি শুধু উদ্বেগজনকই নয় বরং তা সামগ্রিকভাবে দেশ ও জনগণের জন্য এক অশুভ আগামীর ইঙ্গিতবাহী। তার বক্তব্যেই প্রমাণিত হয় দেশে আইনের শাসন নেই।
তিনি বলেন, দেশে যে ন্যুনতম গণতন্ত্র নেই বরং একদলীয় শাসনের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তা লন্ডনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সুস্পষ্ট হয়েছে। আইনের শাসন, আইনি প্রক্রিয়া ও ন্যায় বিচার নিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক শক্তি বারবার যে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে সেটি যে ন্যায়সঙ্গত তা আবারও প্রমাণিত হলো।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে অসহায় মানুষের প্রতিকার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থলের ওপর আস্থার ঘাটতি সৃষ্টি হবে। চরম নৈরাজ্য নেমে আসবে রাষ্ট্র ও সমাজে। সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভয় ও শঙ্কার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে সারাজাতি উৎকন্ঠিত। আমি উক্ত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
টিএস/বিএস
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।