October 14, 2025, 10:52 am
সর্বশেষ:
সাহসিকতায় অনন্য নজির: পিপিএম পদকে ভূষিত হলেন এসআই খাজু মিয়া নির্বাচনী দায়িত্বে দক্ষতা বৃদ্ধিতে পুলিশের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত নিজের বিবেক লিজ দেবেন না: দুদক কমিশনার তিতাস নদীতে ভাসছে ‘মিস্ট্রি হাউস’, কৌতূহল ছড়াচ্ছে চারপাশে মেঘনার দম্পতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত — এলাকায় শোকের মাতম মেঘনায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে মহড়া, র‍্যালি ও আলোচনা গজারিয়ার আনার পুর পরিকল্পিত ইউটার্ণের অভাবে মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদ হোমনা পৌরসভার প্রশাসক ঘুমাচ্ছেন? চাঁদপুর নৌ পুলিশের সপ্তম দিনের অভিযানে ৫০ জেলে গ্রেফতার নদীতে ঝোপ: মেঘনাবাসীর সংস্কৃতি না নদী হত্যার বৈধ অজুহাত?

সোনাগাজীতে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েপড়া সাইক্লোন শেল্টারটি সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর।

১৮ জুন ২০১,, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামে ১৯৭০সালের ২১ সেপ্টেম্বর নির্মিত হয় সাইক্লোন শেল্টার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওই সাইক্লোন শেল্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি থাকায় ভাংচুর করেছিল পাক মিলিটারি বাহিনী। এবং ওইদিন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মানু মিয়াকে খুন করেছিল পাক বাহিনীর দোসররা। ১৯৭২সালে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সাইক্লোন শেল্টার পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেছিল সরকার। প্রায় ৪৯বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধারনকৃত সেই সাইক্লোন শেল্টার সংস্কার অথবা পুনঃনির্মানের উদ্যোগ নেয়নি সরকার। জমিদাতা মুন্সি শামছুল হকের ছেলে জয়নাল আবদীন বলেন, ঘুর্নিঝড় চলাকালে জান মালের ক্ষতি নিয়ন্ত্রন করতে তৎকালিন সরকার আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ নেয়। সরকারের চাহিদা অনুযায়ী ৩০শতক জমি দান করেন।

যুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাইক্লোন শেল্টারটি নির্মানের মাত্র একবছর পর পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়। এরপর অনেক সরকার আইলো গেলো কেউ নির্মানের উদ্যোগ নেয়নি। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় আমিন উদ্দিন মুন্সি বাজার অথবা মানুমিয়ার বাজার সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল হাই মিষ্টার বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় এখানকার লোকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিষয়টি সংশ্লিস্ট দপ্তর গুলোতে বার বার অবহিত করা হয়েছে। ২০১৬সালে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল এলাকা পরিদর্শন করে সাইক্লোন শেল্টার নির্মান উপযোগী স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে এটি অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন , ঘনবসতি পুর্ন মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামে প্রায় ৭হাজার লোকের বসবাস । উক্ত গ্রামে নির্ধারিত স্থানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘুর্নিঝড় আশ্রয়ন কেন্দ্র নির্মান করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা