• বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় মাদক–জুয়ার দৌরাত্ম্যে জনজীবন বিপর্যস্ত দুদকের তিন অভিযানে অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ ইমু–ফেসবুক ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল: তিতাসে যুবক গ্রেফতার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নৈতিক ভিত্তি নেই : নাজমুল হাসান মেঘনা উপজেলা বিএনপির চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা মেঘনায় চার নারী পেলেন ‘অদম্য নারী’ পুরস্কার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবসে প্রশাসনের মানববন্ধন চতুর্মুখী স্বরযন্ত্রে বিপর্যস্ত মেঘনা বিএনপি দাউদকান্দি বাজার বড় মসজিদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভালুকায় বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৯৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০১৯

৯ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ভালুকা সংবাদদাতা :

ময়মনসিংহের ভালুকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম (৪০) নিহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভালুকা থানার ওসি মো. মাইনউদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জুন মাসের ৩০ তারিখে নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, গোপন সূত্রে খবর পাই ধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি সাইফুল ডাকাত ভালুকার হাতিবেড় গ্রামের একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। খবর পেয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে ভালুকা থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে সেখানে অবস্থানরত দুষ্কৃতিকারীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে সাইফুল নামে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে ভালুকায় ডাকাতি, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও তিনটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।’

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৬ জুন ভালুকা উপজেলার ৮ম শ্রেণির ওই ছাত্রী (১৪) সকালে স্কুলে যাচ্ছিল। এমন সময় পথে একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০) ও রমজান আলী (৩০) পেছন থেকে তাকে জাপটে ধরে। পরে তাকে জোর করে জঙ্গলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা ওই কিশোরীর গলায় চাকু ধরে ও অ্যাসিড নিক্ষেপের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনাটি কাউকে না জানানোর ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয়। সে সময় ভয়ে ওই কিশোরী ঘটনাটি বাড়ির কাউকে জানাননি।

পরবর্তীতে গত ২৪ জুন ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে একই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে সাইফুল ও রমজান আবার ধর্ষণের উদ্দেশে জোরাজোরি শুরু করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মার কাছে ঘটনাটি জানালে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্যাতনের শিকার কিশোরী জানান, সাইফুল ও রমজান ১৬ জুনের এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ২৪ জুন আবার নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু পরে কৌশলে তাদের হাত থেকে দৌড়ে পালায় সে। পরে গত ৩০ জুন জেলা সকালে এ ঘটনায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয় এবং ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরআই


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন