December 23, 2024, 8:42 am
সর্বশেষ:
কুমিল্লা মেঘনার বৈদ্ধনাথপুরে ঢাকা বনাম চট্রগ্রাম বিভাগ কুস্তি খেলা ৯ জানুয়ারি মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে বিএনপির দুই গ্রুপের আলাদা শ্রদ্ধাঞ্জলি  মেঘনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন মেঘনায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে আওয়ামীলীগের দুসর : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনার মাটি- মোশাররফ স্যারের ঘাটি শ্লোগানে মুখরিত মানিকার চর বাজার দৌলত হোসেন সরকারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত গাছে ফেস্টুন লাগানোর দায়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা: ২৪ ঘন্টায় সকল ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ বিগত ১৫ বছরে ভারতের সাথে যত চুক্তি হয়েছে তা বাতিল করতে হবে : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনায় জনাকীর্ণ সেতু নির্মাণের আশায় দেড় যুগ!

দোয়ারাবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : পানিবন্দি সাড়ে ৪ হাজার পরিবার

১৩ জুলাই ২০১৯,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃসুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে গত ৮ দিনের টানা বর্ষণ ও অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ৯ ইউনিয়নের সাড়ে ৪ হাজার পরিবারের পানিবন্দি মানুষ। রাস্তাঘাটসহ নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢোকায় অধিকাংশ পরিবারের উঁনুনে হাঁড়ি বসছেনা। উপজেলার কনসখাই, নাইন্দা, বন্দেহরি, পান্ডারখাল, গৌরিপুর, হিঙ্গিমারি, শান্তিপুর, গোয়ারাই, বড়ঝাই, কানলা ও দেখার হাওর তলিয়ে গেছে। ঢলের তোড়ে ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর উঠতি আউশ-ইরি, সদ্য বপন করা আমনের বীজতলা, সবজি ক্ষেতসহ মাঠঘাট ও গোচারণ ভূমি। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নস্থ বৈঠাখাই কমিউনিটি ক্লিনিকটি কালের সাক্ষি হয়ে হাওরের মাঝখানে নির্বাক একাকি দাঁড়িয়ে থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিঘিœত হচ্ছে। উপজেলা সদরে সুরমার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে অফিসপাড়াসহ বাসাবাড়ি পানিতে থৈ থৈ করছে। উপজেলা পরিষদের সম্মুখস্থ পাকা সড়কসহ নদীপাড়ের অব্যাহত ভাঙনে রাতদিন আতঙ্কে কাটছে ব্যবসায়ীদের। ইতোপূর্বে দোয়ারাবাজার-সুরমা লাফার্জ সড়কের মাস্টার পাড়া এলাকায় দীর্ঘ রাস্তা ও দোকানপাটসহ ৭টি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দোয়ারাবাজার সদর ও সুরমা ইউনিয়ন ছাড়াও বগুলা, লক্ষীপুর, নরসিংপুর, বাংলাবাজার, দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও ও মান্নারগাঁও ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা গত তিনদিন ধরে নৌকাযোগে উপদ্রুত এলাকাসমুহ পরিদর্শনকালে বন্যা আক্রান্ত হতদরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। তার সাথে রয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেহের উল্লাহ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমেদ, ওসি আবুল হাশেম, উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু চন্দ্র পাল প্রমুখ। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য উপজেলা সদরে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। উপদ্রুত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ ছাড়াও আমাদের মেডিকেল টিম দ্বারা পানি বিশুদ্ধিকরণ ও প্যারসিটামল ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে বলে ইউএনও সোনিয়া সুলতানা এ প্রতিবেদককে জানান। দূর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা