১৭ আগস্ট ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এনামূল কবির মুন্না,
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ
দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়নি।এ নিয়ে লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও চলছে নানা গুঞ্জন।কেউ বলছেন অবহেলা করে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়নি।আবার কেউ বলছেন প্রতিষ্ঠানটির দায়ীত্বশীলরা সরকার বিরোধী চক্র সাথে জড়িত।
যখন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস সহযথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম মৃত্যু দিবস জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।কিন্তু লক্ষীপুর ইউনিয়নের সুনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজে অবহেলা করে দিবসটি পালন করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষ মো. আব্দুল কাদির সরকারী নির্দেশ অবহেলা করে তিনি কলেজটি ঈদের আগেই বন্ধ ঘোষণা করে তার নিজ বাড়িতে ছুটি কাটাতে চলে যান।
লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজ শাখার প্রভাষক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বর্তমান প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম অন্যায় দেখে নিজ থেকেই প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেছি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে রাতের আধারে কেউ জানে না। এমনকি দাঁতা সদস্য লোকজনদের সাথেও অবিচার করা হয়েছে। অনেক দাঁতাগণের নাম বাদ দিয়ে তাদের নিজেদের পছন্দের লোকজনের নাম যোগ করা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেহের উল্লাহ বলেন,এবারও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আছে স্বস্ব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য। তিনি কেন দিবস পালন করেন নাই তা খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা বলেন, সরকারী নির্দেশ অমান্য করে লিয়াকতগঞ্জ স্কুল ও কলেজে যদি জাতীয় শোক দিবস পালন না করে তাহলে তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদিরের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন।সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন পরে ফোন দেওয়া হলে ফোন রিসিভ করেনি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।