August 24, 2025, 1:44 am
সর্বশেষ:
স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা মহাসড়কে অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন: দুর্ঘটনার বড় কারণ জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার হুকুমমতো কাজ করাতে চাইলে চেয়ারে থাকব না : সিইসি কুমিল্লার আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গ্যাজেট নিয়ে গণশুনানি: উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান মাওয়া পদ্মার পারে যুবদল–ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ইলিশ ভোজ স্থানীয় স্বঘোষিত ন্যায়পাল ও সমাজে বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতার অভাব মেঘনা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাত-আটজন পালালেও ধরা পড়লো এক চাঁদাবাজ তৃণমূলের নেতৃত্বে স্থবিরতা: গণতন্ত্র ও নতুন নেতৃত্ব তৈরির সংকট

ছাগলনাইয়ায় কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে নারীর লাথিতে অন্য নারী নিহত।

১৯ আগস্ট ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃ ছাগলনাইয়া উপজেলার ৫ নং মহামায়া ইউনিয়নস্থ উত্তর যশপুর মধ্যমকোনা মজলহক মেস্তরী বাড়ীতে ১৮ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় রাজমেস্তরী মোঃআবুল কালামের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৩৫) কে এনজিও ব্যাংকের কিস্তির টাকা পরিশোধ নিয়ে বিরোধের জেরধরে,একই বাড়ীর মোঃওবায়দুল হকের স্ত্রী,শামছুন নেহার বেগম (৪৫) সহ ৫ জন মিলে খোদেজার ঘরে প্রবেশকরে তাকে মারধরের একপর্যায় শমছেন নেহার খোদেজার তলপেটে লাথি মারলে তাৎক্ষণিক সে ঘটনাস্থলে ঘুরেপড়ে বেহুশ হয়েযায়।পরে খোদেজার পরিবারের লোকজন খোদেজাকে ঘঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারাযায়।
খোদেজার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ১৯ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ,থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মনির হোসেন, এএসআই মোঃআলী,এএসআই ওমর খান ও এএসআই আমজাদ হোসেনসহ পুলিশ সদস্যগণ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।এই সময় পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ও মামলার বাদী হত্যার শিকার খোদেজার স্বামী আবুল কালামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে,৪ জনকে আটক করেছে,আটককৃতরা হলেন শমছেন নেহার বেগম (৪৫) তার ছেলে মোঃমোতালেব (২২),মেয়ে শাহেনা আক্তার (৩০) ও শাহেনার ছেলে শমছেন নাহার এর নাতী মোঃআবদুর রহমান (১৬)।হত্যাকান্ডে জড়িত থাকা শমছেন নেহারের আরেক ছেলে মোঃসোহেল পলাতক রয়েছে।
খোদেজা হত্যামামলার বাদী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,খোদেজার স্বামীর আগের সংসারের ছেলে মোঃমোতালেবের কাছে সুদসহ সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ শর্তে,শমছেন নেহার এনজিও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সুদে টাকা লাগায়।মোতালেব কিছুদিন যাবৎ শর্ত সাপেক্ষে শমছেন নেহারকে টাকা পরিশোধ করলে ও গত এক মাস পূর্বে সে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়,এই নিয়ে গত এক মাস যাবৎ  শমছেন নেহার খোদেজার সৎছেলে মোতালেবকে দেওয়া টাকা পরিশোধের জন্য খোদেজার উপর নানান ভাবে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল।শমছেন নেহার খোদেজাকে তার সৎছেলে মোতালেবকে দেওয়া টাকা পরিশোধের জন্য যতবারই চাপ দিচ্ছিল,ততবারই খোদেজা শমছেন নেহারকে উল্টো উত্তর দিয়েছিল যে,তোমরা দুইজনে যখন টাকার লেনদেন করেছিলে তখন কি আমাকে জানিয়েছিলে,এখন কেন আমাকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপদিচ্ছ,তুমি যাকে টাকা দিয়েছ তার কাছথেকে টাকা আদায় কর।টাকা পরিশোধের বিষয় তুমি অহেতুক কেন বার বার আমাকে চাপদিচ্ছ।আমি তোমাকে ছাপ জানিয়ে দিচ্ছি,মোতালেবকে তুমি যে টাকা দিয়েছ,সে টাকা পরিশোধের বিষয় নিয়ে আমার কাছে আর আসবে না।তার পর ও শমছেন নেহার অনেকটা জোরপূর্বক খোদেজাকে টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে বাদ্যকরতে গিয়ে বার বার চাপ সৃষ্টি করায় হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানাযায়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা