ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা সদরের পৌর শহরস্থ ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে,গত ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুই যুবলীগ নেতার মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরধরে দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে দিন ব্যাপী দপায় দপায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্রুপের বিরোধ নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফেনী জেলা কমিটি।
ঘটনার দিন দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ নং ঘোপাল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এফ এম আজিজুল হক মানিকসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছিল।সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্রকরে ছাগলনাইয়া থানায় উভয় গ্রুপ একে অপরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেন।সংঘর্ষে আহত হওয়া ঘোপালের ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক মানিক বাদী হয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদ্য নির্বাচিত হওয়া ছাগলনাইয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদারসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে প্রথম মামলাটি দায়ের করেন।মানিক গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিকসহ তার গ্রুপের আরো একাধীক নেতা-কর্মীকে আসামী দিয়ে অপর মামলাটি দায়ের করেন,সদ্য নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক মজুমদার।দায়েরকৃত দু’টি মামলার মধ্যে এই পর্যন্ত ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ মানিক বাদী হয়ে করা মামলায় এনামের ভাতিজা রুমনসহ আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে মোট দুইজনকে ফেনী কোর্টে সোপর্দ করেছেন।
ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন দেশের বাহিরে ছিলেন,ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের অভিবাবক নামে খ্যাত ফেনী-২ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।৬ সেপ্টেম্বর তিনি দেশে ফিরে ঢাকায় অবস্থান করেন।৫ সেপ্টেম্বর ছাগলনাইয়া পৌর শহরে যখন আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দপায় দপায় সংঘর্ষ চলছিল ঠিক ওই মুহুর্তে পৌর শহরের দলীয় কার্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই কর্ণধার সভাপতি শামছুউদ্দিন বলু মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।ঘটনা ঘটার পর ৩ দিন অতিবাহিত হলেও দলের বিতর দুই গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিরসনে কোনধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি দলের এই দুই কর্ণধার।ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে কোন গ্রুপের সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই এমন একাধীক নেতা-কর্মী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামছুউদ্দিন বুলু মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বলেন,উপজেলা পর্যায়ে দলের প্রধান এই দুই কর্ণধার দলে দুই গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষের বিষয় বিরোধ নিরসনে কোন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ তো দুরে থাক উল্টো মানিকের পক্ষে অবস্থান নিয়ে,ঘটনার পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর ছাগলনাইয়া পৌর শহরে দলীয় নেতা-কর্মীদের দিয়ে এনামের বিরুদ্ধে মিছিল করিয়েছেন।যা দলের মধ্যে গ্রুপিং সৃষ্টির ক্ষেত্রে উস্কানি দেয়ার সমতুল্য।যারফলে উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্বশীল এই দুই নেতার উপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
ফেনী জেলা আওয়ামীলীগ কমিটির দায়িত্বশীল একটি সূত্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানাযায়,ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঘটেযাওয়া সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিরসন কল্পে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন,ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের অভিবাবক নামে খ্যাত ফেনী-২ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।সূত্রটির দেওয়া তথ্যমতে জানাযায় নিজাম উদ্দিন হাজারী ৭ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উভয় গ্রুপের নেতা-কর্মীদের সাথে কথাবলে ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় ফেনী জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে ডেকেছেন।সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৮ সেপ্টেম্বরই হয়তো ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘটিত হয়ে যাওয়া সংঘর্ষের বিরোধ নিরসন হবে এমনটি আশা করছে দলটির নেতা-কর্মীরা।