July 25, 2025, 12:34 am
সর্বশেষ:
শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো মেঘনা ‘দূর্গম’ কেন—পুনর্মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি মেঘনায় খাস জমি, হালট ও খাল উদ্ধারে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা দরকার মেঘনায় টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ: বেলে মাটি, অনিয়ম ও ভাঙনের গল্প শিক্ষা সবার জন্য—টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম মেঘনায় বিএনপির ৩১ দফা নারীদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: নেতৃত্বে চাই ছাত্রী-নারী সক্রিয়তা মেঘনা নদীতে চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশের অভিযানে জলদস্যু সোহাগ গ্রেপ্তার হোলিস্টিক প্রোটেকশন ট্রেইনিং অন সেফটি অফ জার্নালিস্টস উইদ এ ফেমিনিস্ট অ্যাপ্রোচ

যেসব কারনে ছাত্রলীগের উপর ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট :

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে তিনি ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন।

শনিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যৌথসভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানান, ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সভায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র জানায়, বৈঠকে ছাত্রলীগের প্রসঙ্গ তোলেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

অন্তত ১০ মিনিট ধরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে দেখে মনে হয়েছে, তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ।

সূত্র আরো জানায়, ওই সভায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে নানা অভিযোগ তোলেন উপস্থিত নেতারা। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- বিতর্কিতদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা দেওয়া, বিবাহিত ও জামায়াত-বিএনপি সংশ্লিষ্টদের পদায়ন করা, দুপুরের আগে ঘুম থেকে না ওঠা, অনৈতিক আর্থিক লেনদেন করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে গিয়ে সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অপেক্ষা করা, সম্মেলনের দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে কমিটি দিতে না পারা ইত্যাদি।

জানা গেছে, সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গণভবনে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের দুজন সিনিয়র নেতা তাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করার পরামর্শ দেন।

এরপরও তারা গণভবন থেকে চলে যাননি। এটি দেখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর তারা গণভবন ত্যাগ করেন।

ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গণভবনে ‘বকা খেয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সোজা রাব্বানীর হাতিরপুলের বাসায় গিয়ে ওঠেন।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুজনই এখন ওই বাসায় রয়েছেন। অবশ্য দুজনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা