৩ অক্টোবর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া কারও দয়ায় মুক্ত হবেন না। অবশ্যই তার জামিন পাওয়ার যে ন্যায্য অধিকার, সেই অধিকারেই মুক্ত হবেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে আর যাই হোক, তাকে আটকে রাখা যাবে না। জনগণ তাদের প্রিয় নেত্রীকে অবশ্যই আন্দোলনের মাধ্যমে বের করে আনবে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। এটাই তাদের ইতিহাস। তাদের চরিত্রের মধ্যে গণতান্ত্রিকতা বলতে কিছু নেই। থ৭৫ সালে বাকশাল সৃষ্টির মাধ্যমে একদলীয় শাসন চালু করতে চেয়েছিল। আজ কৌশল পাল্টে গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দিয়ে ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।
তিনি বলেন, এই সমস্যা শুধু বিএনপির নয়, শুধু পেশাজীবীদের নয়। এই সমস্যা সারা বাংলাদেশের মানুষের। যে জন্য ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম, যার মূলমন্ত্রই ছিল গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্রকেই তারা ব্যাহত করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্যাসিনো নিয়ে খুব লাফালাফি হচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বড় সম্পদ লুট হয়ে গেছে। সেটি হলো ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বাধীন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার আওয়ামী লীগ লুট করে নিয়ে গেছে। সেজন্যই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে নাকি এই সরকারের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক। কিন্তু, সে দেশের নেতারা বিভিন্ন ধরনের কথা বলেন। তারা বলেন, আসাম থেকে বের করে দেওয়া হবে, উত্তর প্রদেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে। এসব কথায় স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের নাগরিকেরা উদ্বিগ্ন হই।
ফখরুল বলেন, আমাদের কেউ ভারতে গেছে বলে মনে করি না। এটা এক ধরনের ষড়যন্ত্রের কথা, যা দিয়ে বাংলাদেশের ওপর বড় চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আয়োজক সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি রুহূল আমীন গাজী, মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম, রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লব জামান, জাহানারা খাতুন, জাকির হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।