• সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
যাত্রী বেশে ট্রলারে উঠে অপহরণকারীরা, দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি — পরে মিলল লাশ গজারিয়ায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন যুবতী এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া মজলুম জালিম হচ্ছে, ফ্যাসিবাদবিরোধীরা ফ্যাসিবাদী হচ্ছে: মাহফুজ আলম হোমনা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা হকের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার গ্রামীণ জনপদের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সুবিধা ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সিলেটে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত ক্ষমতা বা আসন ভাগাভাগির ভিত্তিতে সমঝোতায় যাবে না এনসিপি : নাহিদ ইসলাম নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গজারিয়ায় নিখোঁজের ছয়দিন পর মিশুক চালকের লাশ উদ্ধার; পরিবারের দাবী পরিকল্পিত খুন

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৭৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম ডি ওসমান :

মুন্সীগঞ্জে গজারিয়ায় নিখোঁজের ছয়দিন পর ব্যাটারি চালিত রিকশা (মিশুক) চালক মো. মান্নার(২২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নাজিরচর গ্রামের একটি পুকুর থেকে হাত-পায়ের রগকাটা ভাসমান অবস্থায় মান্নার লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ। মান্না গজারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন ফুলদী গ্রামের মৃত-মন্তু মিয়ার ছেলে। তার দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে মিশুক নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয় চালক মান্না। পরদিন তার মা খাদিজা বেগম গজারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) হারুন-অর-রশীদ জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা নাজিরচর গ্রামের পুকুরে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজ মান্নার লাশ উদ্ধার করে। তার হাত ও পায়ের রগ কাটার চিহ্ন পাওয়া গেছে। মান্নার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

মান্নার মা খাদিজা বেগম জানান, প্রতিদিনের মতো ৮ডিসেম্বর (রোববার) বিকেলে তার ছেলে মিশুক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে গজারিয়া বাজার থেকে গজারিয়া গ্রামের আমানুল ইসলামের ছেলে হিমু (২৫), গোসাইরচর গ্রামের স্বপনের ছেলে রাব্বী (২০) ও রঘুরচর গ্রামের হোসেন শাহ্ ছেলে সাইফুলকে (২১) নিয়ে জামালদী বাস স্ট্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর রাতে তার ছেলে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।

খাদিজার অভিযোগ, ওই তিন যাত্রীই তার ছেলেকে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে গেছে।

গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খুনের ঘটনায় সন্দেহ ভাজন তিন জন কে আটক করার চেষ্টা চলছে। লাশের গলা,হাতপায়ের রগ কাটাসহ পেটে ছুড়িকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

এ বিষয়ে অপহরণের পর খুনের শিকার মান্নানের মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন