২ জানুয়ারি ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, স্টাফ রিপোর্টার :
আমাদের কথাঃ
মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি “গৌড়নাট নাট্যদল” প্রতিষ্ঠা করতে পেরে । শ্রদ্ধার সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই বাংলাদেশের নাট্যজগতের অন্যতম পুরোধা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শিশুবন্ধু নাট্যজন জনাব লিয়াকত আলী লাকি স্যারকে। তার সর্বাত্মক সহযোগিতায় গৌড়নাটকে এতদূর আসার ও আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরনা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন ,হৃদয়ের গভীরে তাদের নাম চিরস্মরনীয় করে রাখতে চাই ।
সম্মানিত সুধীজন ,
“সংস্কৃতির মুক্ত আলোয় বিভেদ মোরা করবো দূর, চৌকস মেধায় এদেশ গড়ে তুলবো মোরা স্বাধীন সুর।“ এই শ্লোগানকে ধারন করে ২০১২ সালের ৫ ই নভেম্বর কিছু উদ্যমী ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুন নাট্যকর্মী নিয়ে গৌড়নাটের পদযাত্রা শুরু। আজ এ দলটি একটি সম্ভাবনাময় নাট্যদলে পরিনত হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে দলের প্রতিটি সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিঃসার্থভাবে বিভিন্ন ধরনের সেবা। গৌড়নাটের মূল চেতনা হচ্ছে মহান ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা অর্জনের বিজয়গাঁথা বাঙালী জাতির সব গৌরবময় ইতিহাসকে লালন করে দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ সাধন করা। তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আমরা আমাদের ১ম প্রযোজনা “রাজার নতুন জামা”এর ৭ম মঞ্চায়ন করতে যাচ্ছি। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তরুন নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা আহাদ শুভ।
নাট্যনুরাগী বন্ধুগন,
আমাদের ভুল ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। এগুলোকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা রাখি। আমরা প্রত্যাশা করি আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ আরো মসৃণ করবে। সকল বাধা অতিক্রম করে গৌড়নাট নাট্যদল তার কাংখিত সীমানায় পৌঁছে অবিরত বিচরন করুক সকলের কাছে এই আশীর্বাদ কামনা করছি।
ধন্যবাদান্তে,
মোঃ রেজাউল করিম সবুজ
সভাপতি, গৌড়নাট নাট্যদল।
নাটকের কথাঃ
রাজ্য গোল্লায় যাক। কিন্তু নিত্য নতুন পোষাক তার চাই। এই অতি বিলাসিতার কাজে সহায়তা করেন কিছু চাপাবাজ মন্ত্রী ও রাজপরিষদ বর্গ। মহারাজ যাতে জনসেবার কথা ভুলেও চিন্তা না করেন, কেবল নিজ স্বার্থ আর রাজদরবারে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের কল্যাণের কথাই ভাবেন সে ব্যাপারে বুদ্ধির পুরোটাই খরচ করেন এরা। এমনকি এক রাজার জন্মদিনে নতুন পোষাক তৈরির কথা শুনে দুই চালাক তাতি হাজির হন রাজদরবারে। অযোগ্য রাজা আর তার ধুরন্দর মন্ত্রী পরিষদবর্গের আসল চেহারা অতি সুক্ষ কৌশলে প্রজাদের সামনে উপস্থাপনের এইতো সুযোগ। বুদ্ধির জোরে তাতিরা রাজাকে রাজি করাতে সক্ষম হন। রাজার এই পোষাকই বলে দিবে রাজ্যের কারা কারা যোগ্য আর বোকা। এমন অভিনব পদ্ধতির কথা শুনে রাজার মশাই তো বেজায় খুশি। এমন সুত্র ধরেই নানা ঘটনার ঘন ঘটার মধ্যে দিয়ে এগুতে থাকে নাটকের কাহিনী। বিদেশী লেখক হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসনের এই নাটকটি সহজ ওঁ সাবলীল বঙ্গানুবাদ করেছেন সমসাময়িক বাংলা সাহ্যিতের অন্যতম প্রধান কবি আসাদ চৌধুরী। তরুন উদীয়মান নাট্যনির্দেশক, নাট্যভিনেতা ও সংগঠক আহাদুর রহমান শুভ’র অক্লান্ত পরিশ্রমে তা মঞ্চোপযোগীর মর্যাদা পেয়েছে। হাস্যরসাত্মক উপাদানের মাধ্যমে সমাজ তথা রাষ্ট্রের মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা রাঘব বোয়াল আর তেলবাজ ব্যক্তিবর্গের প্রকৃত চরিত্র তুলে ধরার প্রয়াস এই নাটক।
মঞ্চের পিছনে যারাঃ
সেটঃ রাজিব ও ফুয়াদ
লাইটঃ জাকারিয়া
মিউজিকঃ তারেক ও আশিক
মেকাপঃ তাসু
পোষাকঃ তারেক
দ্রব্য সামগ্রীঃ লাকি, তারেক ও আশিক
অভ্যর্থনা ও ব্যবস্থাপনাঃ রেজাউল করিম সবুজ, মুন্সি রফিক উদ্দিন।
টিকেটঃ জাহিদ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ
লিয়াকত আলী লাকি
মাহমুদা আক্তার (প্রিন্সিপাল, স্মাইলিং চিল্ড্রেন স্পেশাল স্কুল)
তৃপ্তিরানী বড়ুয়া
ফৌজিয়া আক্তার (প্রিন্সিপাল, মহানগর মহাবিদ্যালয়)
গৌড়নাট নাট্যদল এর
প্রথম প্রযোজনা, …………… মঞ্চায়ন
নাটকঃ রাজার নতুন জামা
মূল গল্পঃ হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসন
অনুবাদঃ আসাদ চৌধুরী
পরিমার্জন ও নির্দেশনাঃ আহাদ শুভ
স্থানঃ জাতীয় নাট্যশালা/এক্সপেরিমেন্টাল হল/ স্টুডিও থিয়েটার/সংগীত ও নৃত্যকলা
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।