• শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১০ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ, সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ মেঘনায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত সদর দক্ষিণ সার্কেল অফিসে পুলিশ সুপারের বার্ষিক পরিদর্শন মেঘনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: হাসপাতালকে জরিমানা, ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা সাপ আতঙ্কে মেঘনা সাব-রেজিস্টারের অস্থায়ী অফিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্থানান্তরের দাবি জনসাধারণের কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ, উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধান অতিথির কঠোর সমালোচনা গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এখানে যদি দুর্নীতি চায় কি না—এমন গণভোট করি শতভাগ মানুষ ভোট দেবে ‘চাই না’ : দুদক চেয়ারম্যান কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার মেঘনায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

করোনা প্রতিরোধে মেঘনা : প্রশাসনের সহনশীলতা কে সম্মান করে গণজমায়েত না করি

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ২০৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০

১ এপ্রিল ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : করোনাভাইরাস আজ সারা বিশ্বকে লকডাউন করে দিয়েছে। বিশ্বে আজ লাশের মিছিল। আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে গেছে। পৃথিবীর ক্ষমতাধর দেশ গুলো আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। এ যেন এক অদৃশ্য শক্তির সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। জ্ঞান , বিজ্ঞান , করোনাভাইরাস এর নিকট অসহায়। বাংলাদেশ ও এর বাহিরে নয়। বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা ছাড়া আর কোন বড় উপায় হতে পারেনা। শুরু থেকেই ডাক্তার , পুলিশ প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, গণমাধ্যম কর্মী, ও সেনা বাহিনী যথেষ্ট কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে। কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ও সারাদেশের ন্যায় মাঠ প্রশাসন নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেঘনাবাসীকে ঘরে ঢুকাতে পেরেছে কিন্তু ঠেকানো যাচ্ছেনা ঘর থেকে বের হওয়া। মেঘনার প্রশাসন যথেষ্ট সহনশীলতা বজায় রেখে অসচেতন মানুষ গুলোকে সচেতন করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মেঘনার জনগণের উচিত এই সহনশীলতাকে সম্মান করে সরকারি আইন শৃঙ্খলা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে বাজার গুলোতে প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী দেখলে দৌড়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন আবার প্রশাসন চলে গেলে পুনরায় বাজারে আড্ডায় গণজমায়েত হচ্ছেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য এই দায় কার? দায়িত্বশীলদের কথা সম্মান করে নিজে ভালো থাকুন জাতীকে রক্ষা করুন। আপনার ঘরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যদিও কষ্ট হয় তার পরেও রাখতে হবে কারণ এই মুহূর্তে এর কোন বিকল্প নেই। বৃহত্তর স্বার্থে প্রশাসন সহনশীলতা থেকে বের হয়ে আসতে পারে তখন ঠিকই ঘরে যাবেন, দোকান পাট বন্ধ রাখবেন। এইতো একটু আগে খবর পেলাম উপজেলার রামপুর বাজারে সেনাবাহিনী ও প্রশাসন গনজমায়েত বন্ধে দুই ব্যক্তিকে জরিমানা করেছে। এমনটা প্রশাসন করতে চায়নি কিন্তু কি উপায় আমার আপনার ভালোর জন্য আজ যারা মাঠে নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের কথা কে সম্মান করবেননা এটা হয়না। প্রতিটি জনপ্রতিনিধি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনকি স্ব শড়িরে বিভিন্ন ভাবে সচেতন করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আমরা তাদের কথা ও মানছিনা। আসুন আমরা নিজেরা নিজেদের থেকে সরকারি নিয়মনীতি মেনে চলি। মনে রাখতে হবে এটা একটা যুদ্ধ এই যুদ্ধে আমাদের সবাইকে অংশ গ্রহণ করতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের কাজ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা তবেই আপনি এই যুদ্ধের অংশিদার। আসুন আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুস্থ থাকি এবং বিশ্বকে দেখিয়ে দেই আল্লাহ আমাদের সহায় আমরা পারি নিজেদেরকে সচেতন করে ভাইরাস প্রতিরোধে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন