December 23, 2024, 1:57 am
সর্বশেষ:
কুমিল্লা মেঘনার বৈদ্ধনাথপুরে ঢাকা বনাম চট্রগ্রাম বিভাগ কুস্তি খেলা ৯ জানুয়ারি মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে বিএনপির দুই গ্রুপের আলাদা শ্রদ্ধাঞ্জলি  মেঘনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন মেঘনায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে আওয়ামীলীগের দুসর : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনার মাটি- মোশাররফ স্যারের ঘাটি শ্লোগানে মুখরিত মানিকার চর বাজার দৌলত হোসেন সরকারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত গাছে ফেস্টুন লাগানোর দায়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা: ২৪ ঘন্টায় সকল ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ বিগত ১৫ বছরে ভারতের সাথে যত চুক্তি হয়েছে তা বাতিল করতে হবে : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনায় জনাকীর্ণ সেতু নির্মাণের আশায় দেড় যুগ!

করোনা : আমাদের “মানিক রতন “।

১৮ জুন ২০২০,বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : কোভিড -১৯, করোনা ভাইরাস এর প্রভাবে সারা বিশ্ব আজ স্তম্ভিত। ভাইরাস টিকে প্রানঘাতী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বৈশ্বিক মহামারি ঠেকাতে শক্তি ধর দেশ গুলো আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এই অদৃশ্য শক্তির নায়ক করোনা ভাইরাসের সাথে। জ্ঞান বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তেমন কোন আশানুরূপ সাফল্য আসছেনা। বাংলাদেশ ও এই ভাইরাসের ছোবলে ন্যুব্জ। ইতিমধ্যেই আমরা অনেক মেধামী, নামী দামী, উচ্চ পদস্ত, সাধারণ, অসাধারণ অনেক মানুষকে হারিয়েছি। চলতি বছরের মার্চের ৮ তারিখ থেকে বাংলাদেশে এই ভাইরাসের রোগী সনাক্ত হয়। ১৭ মার্চ থেকে রাস্ট্র করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ঘোষনা সহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রথমত প্রবাস ফেরত দের হোমকোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা সহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯০ ৬১৯ জন মোট আক্রান্ত হয়েছে , ৩৪০২৭ জন সুস্থ হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছেন ১২০৯ জন। কতটা অসহায় আজ আমরা এই ভাইরাসের কাছে তা বলে শেষ করা যাবেনা। সাধারণ ছুটি ঘোষনা করার সাথে সাথে জনপ্রতিনিধি, মাঠ প্রশাসন, ডাক্তার, পুলিশ গনমাধ্যম কর্মীরা সারাদেশে ভাইরাস প্রতিরোধে নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সারা দেশে। একই ভাবে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ও এর কোন প্রকার ব্যত্যয় ঘটেনি। ডাক্তার, পুলিশ, নির্বাহী প্রশাসনের পাশাপাশি আংশিক জনপ্রতিনিধি মাঠে নেমেছিলেন মেঘনা বাসীকে এই ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা থেকে শুরু করে ঘরবন্দী, কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে খাবারের ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা সহ যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যা এখনো চলমান। দু একজন ইউপি চেয়ারম্যান কে মাঠে দেখা গেলেও অনেকে বার্ধক্যজনিত কারনে তেমন একটা মানুষের কল্যাণে সম্মুক যোদ্ধা হিসেবে আসতে পারেননি। তবে মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার এর বেলায় ঘটেছে ভিন্ন চিত্র। শুরু থেকেই এই প্রতিবেদক উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, সকল পেশাজীবী, সকল দলের অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করার জোর নিবেদন করেছিলাম। আমার মনে হয় সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার এর টিম আজকে পর্যন্ত সফল। যে কথা বলতেছিলাম রতন শিকদার ব্যাক্তিগত ভাবে একজন ওপেন হার্ট সার্জারী করা মানুষ। এই ভাইরাস এই ধরনের রোগীদের জন্য খুব ঝুঁকি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে অনেকেই হোমকোয়ারেন্টাইন এ চলে গেছেন, আবার কেউ কেউ জীবনকে মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে উল্লাসে দিনরাত কাজ করছেন। সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার ও তার চিন্তায় রেখেছিলেন আল্লাহ আমাকে এত বড় অপারেশন এর পর যে দায়িত্ব জনগণের ভোটের মধ্যে দিয়ে দিয়েছেন সে জীবনটা না হয় জনগণের মাঝেই বিলিয়ে দেই। না হয় এক মিনিটের জন্যও মানুষ টি থামেনি, এই দাপ্তরিক কাজ, এই রাজনৈতিক নেতাদের সামলানো, সরকারি ত্রানের সুষম বণ্টন, বেসরকারি ত্রান বিতরণ যেন সামাজিক দূরত্ব ও সঠিক নিয়মে হয় প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করে সুস্থ ধারায় বিলি করা। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্বগতি রোধ করতে প্রশাসন কে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন হাট বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার সহ এই মহামারিতে উপজেলার কেউ যেন মৌলিক চাহিদা মেটাতে কস্ট না পায় সে জন্য ফেসবুকে নিজের নাম্বার দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যে কোন সমস্যা হলে যে কেউ সরাসরি আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন, ইনশাল্লাহ আমরা দেখবো এই জনসাধারণকে সাহস জোগাতে ছিলেন বদ্ধপরিকর। যা এখনো চলমান। করোনা পরিস্থিতি প্রথমত হটস্পট ছিলেন ঢাকা – নাঃ গঞ্জ এর সন্নিকটেই মেঘনা উপজেলা স্থল পথ চেকপোস্ট বসানো হলেও নদী পথে রয়েছেন একাধিক পথ মেঘনা প্রবেশের। উপজেলা চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে ডাক্তার, পুলিশপ্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসনের দিনরাত পরিশ্রমে এত প্রতিকূলতা থাকা সত্বেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এর রোগির সংখ্যা তুলনামূলক জেলার অন্য উপজেলার চাইতে অনেক কম। এবং যারা আছেন এর মধ্যে দুই জন পুরোপুরি সুস্থ এবং বাকিরা ও যথেষ্ট ভালো আছে, সবচেয়ে বড় সফলতা ও আল্লাহর রহমত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকরাই চিকিৎসা প্রদান ও দেখভাল করে এ পর্যন্ত রোগিদের পরিস্থিতি ভালো রেখেছেন। শুধু এখানেই শেষ নয় এই চেয়ারম্যান করোনাকালীন সময়ে কৃষকের ধান জমি থেকে ঘরে তুলতে দলীয় অংগ সংগঠন সহ নিজস্ব পৃষ্টপোশকতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এক ঝাক মেধাবী শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে গঠিত উদ্দীপ্ত তরুন কে নির্দেশ প্রদান করেই ক্ষান্ত হননি নিজেই অসুস্থ শড়ির নিয়ে কৃষকের কষ্টের ভাগি হতে পাশে দাড়িয়েছেন। আপদকালীন চলমান সময়ে মানুষ কাছে পেয়ে সাধারণ মানুষের সন্তুষ্টির কোন কমতি ছিলোনা। সাধারন মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকায় মানুষ তাকে আপন করে বলেন আমাদের “মানিক রতন ” আল্লাহর রহমতে আমাগো রতন দেখবো ইনশাআল্লাহ ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা