৬ জুন ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম এইচ বিপ্লব শিকদার, মেঘনা থেকে ফিরে : কুমিল্লার মেঘনা থানায় করোনাকালীন চলতি বছরের মার্চের ১৮ তারিখ থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ফলে বিভিন্ন ঘটনায় মোট ১৫ টি মামালার ২৫০ জন আসামি এজহারভুক্ত ১৫ থেকে ২০ অজ্ঞাত আসামির মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত দুই জন আসামি সহ ১২ জন গ্রেফতার করা হয়। মেঘনা থানা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। মামলার মধ্যে আমিরাবাদ গ্রামের আলোচিত রিতা হত্যা , সাপমারা গ্রামের শিশু তাবাসসুম হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য। করোনাকালীন সময়ে উপজেলার বাস্তব চিত্র অনুসন্ধানে দেখা যায় প্রায় প্রতিটি গ্রামে করোনা ভাইরাস এর প্রভাবে শহর থেকে গ্রামে অনেক পরিবার চলে যায় এছাড়া সাধারণ ছুটির কারনেও উপজেলার অনেক নাগরিক বহিরাগত এলাকায় বসবাস করলেও বাড়িতে চলে আসে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কমিটি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রুপ উপগ্রুপে দাঙ্গা ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ে। অনেক ঘটনার মামলা না হলেও পুলিশ প্রশাসন স্থানীয়দের সমন্বয়ে মিমাংসা করে। চলমান পরিস্থিতিতে পাড়ার বন্ধ গ্রামে ও উপজেলার পুরান বাটেরা (চর কাঠালিয়া) গ্রামে ২৭ জুন দুই গ্রুপের মধ্যে টেটা যুদ্ধ হয় এতে ১৫ জন আহত হয় পরে কয়েক দফা বাড়ি ঘর ভাংচুর সহ ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয় ও সংবাদ মাধ্যম সূত্রে প্রায় ৫০ পড়িবার গ্রাম শূন্য হয়ে পরে। ২৯ জুন এ এস পি ফজলুল করিম ( হোমনা -মেঘনা সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও পুলিশ মোতায়েন করলেও আতংক আর থম থমে পরিস্থিতিতে নিদ্রাবিহীন চর কাঠালিয়া গ্রামবাসীর। গতকাল রবিবার উভয় গ্রুপের মধ্যে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে এ এস পি ফজলুল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবীর কুমার রায়, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলারা শিরিন মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ সহ উপজেলার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল তাদের নিয়ে চরকাঠালিয়া গ্রামে আলোচনায় বসেন। এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ বলেন দলাদলি, মারামারি বন্ধ করা ও যার যার বাড়িতে শান্তি পূর্ণ অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং খুব শিগগিরই এই টিম তাদের সমস্যার সমাধান মানে মিমাংসা করে দিবে। আলোচিত এই ঘটনায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন না এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে এই কয়েক মাসে অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এ দিকে র্যাবের অভিযানে মাদকের চালান উদ্ধার নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিলো জনমনে বহুবিধ ধূম্রজাল। একাধিক সূত্র জানায় মাদক সহ গুটিকয়েক আটক হলেও মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সচেতন মহল প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন আধিপত্য বিস্তার, সহ গ্রামে গ্রামে গ্রুপিং করে যেন আইনশৃঙ্খলা অবনতি না হয়।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।