November 23, 2024, 1:22 am

দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস বাংলাদেশে করোনার জাল সনদের রমরমা ব্যবসা

১৭ জুলাই ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ এখন সরগরম। বিশেষ করে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি। আরও স্পষ্ট করে বললে ডা. সাবরিনা ও মো. সাহেদ ওরফে শাহেদ করিম।

বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের নকল সনদের রমরমা ব্যবসা চলছে। প্রতিবেদনে তারা এই ঘটনার হোতা রিজেন্ট সাহেদের গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেছে। তার গ্রেপ্তার কাহিনীর বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। কবে থেকে পালাতক ছিলেন, কতোদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে খুঁজছে, কিভাবে তিনি সীমান্ত পার হতে চেয়েছিলেন, বোরকা পরে ছদ্মবেশ ধারন করেছিলেন— এমন সব বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাহেদের হাসপাতালে যারা ৫৯ ডলার তথা সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে করোনা টেস্ট করিয়েছেন তাদের অধিকাংশেরই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আবার যারা করোনার নেগেটিভ সনদপত্র দেখিয়ে বিদেশ যেতে চেয়েছেন তাদের কাছেও কোনো টেস্ট না করিয়েই জাল নেগেটিভ সনদ বিক্রি করেছেন।

আর প্রবাসীদের মধ্যে এই সনদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের মিলিয়ন মিলিয়ন লোক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে সে বিষয়টি। এসব প্রবাসীদের অনেকেই এই জাল নেগেটিভ সনদপত্র দেখিয়ে বিদেশে গেছেন সেটারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

এই ধরনের ভুয়া রিপোর্ট ও জাল করোনা নেগেটিভ সনদের ঘটনা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যে ক্ষুন্ন করবে সেটিও তারা উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দেশটির করোনা পরিস্থিতি মূলত অস্পষ্ট। ১৬ কোটিরও বেশি অধিবাসীর বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ লাখের মতো মানুষের। যদিও দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষার হার তুলনামূলক কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি হিসাব যা দেখাচ্ছে, দেশটিতে প্রকৃত করোনা আক্রান্ত এর চেয়ে অনেক বেশি।

বাংলাদেশের পরিচয় তুলে ধরে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এশিয়ার অতি দরিদ্র দেশগুলোর একটি। দেশটির লাখ লাখ শ্রমিক অভিবাসী হয়ে বিশ্বের নানা দেশে কাজ করেন। তাদের পাঠানো টাকা বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। করোনা পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে যাওয়া অনেক অভিবাসী শ্রমিকই কাজ খুইয়েছেন। সার্বিক বাস্তবতায় এখন তারা কর্মক্ষেত্রে ফিরতে উদগ্রীব।

ইতালির মিলানে একটি রেস্তোরার রান্নাঘরে কাজ করেন বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক তাহের হুসাইন। নিউ ইয়র্ক টাইমসকে তিনি বলেন, সম্প্রতি ইতালির পত্রিকাগুলো বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ বাড়ছে, লাগাতার এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছে। এতে করে লোকজন আমাদের দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে, যেনবা আমরা সবাই করোনা আক্রান্ত।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা