৬ আগষ্ট ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম ডি ওসমান,
গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সিগন্জের গজারিয়ার ইমামপুর ইউনিয়নের ষোল আনির, (চলমান) কয়লা বিদু্্যৎ কেন্দ্রের চতুর পাশে ব্লক বসানোর কারনে ,এর চারো দিকের বৈচিত্র্য আরো সুন্দয্য ফোঁটে উঠেগেছে। আর সে সুবাদে এর পাড় গেসে যাওয়া মেঘনা নদী পরিনত হয়েছে (সৈকতে )।
আর সেখানে করোনা মানছে না বিনোদন প্রেমিরা। ঈদের দিন থেকে বৃহঃপতি বার (6আগস্ট) পর্যন্ত দেখা যায় ষোল আনি ও দৌলতপুর এই দুটি পয়েন্টে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সেখানে কোন রকম সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন নানা বয়সের দর্শনার্থীরা ।
ঋতু বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে কার না ভাল লাগে। ব্যস্তময় জীবনে সুযোগ পেলেই একটু স্বস্তি পেতে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।
প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজারও দর্শনার্থী একটু সুযোগ পেতেই করোনা ভাইরাসের কারণে ঘর বন্ধি হাপিয়ে ওঠা মানুষ গুলো বেরিয়ে পড়ছেন। এরই মধ্যে ঈদ আসায় বেসামাল হয়ে পড়েছে মানুষ কোন ভাবেই ঘরে থাকছে না। এ উপজেলায় উল্লেখযোগ্য কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকা এই স্থ ান দর্শনার্থীদের আগমনে মূখোরিত হয়ে উঠেছে।
তাই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বিনোদন প্রেমিদের প্রাণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ষোল আনি সমুদ্র সৈকত বা কারো কারো মুখে মিনি কক ্র া বাজার নামে পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও মনোমুগ্ধ পরিবেশ থাকলেও সেখানে নেই পশাসনের নজর, কোন সুব্যবস্থা তবু আনন্দদের কমতি নেই দর্শনার্থীদের। ঈদ কে আরো আনন্দময় করতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিনোদন প্রেমি ছোট বড় সকল বয়সের মানুষ ছুটে আসেন এই স্থানে। আবার অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে অপরূপ সোন্দর্য উপভোগ করছেন। তবে এদের বেশিরভাগই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এখানে আসছে এবং কোন রকমের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মানছেন না। এ ছাড়াও স্থানীয়দের মাঝে আতংক হয়ে দাড়িয়েছে বেপরোয়া গতিতে যুবকদের মটরসাইকেল চালানো এবং বিভিন্ন যান্তিক নৌ. তার মাঝি উচ্চ গতির মাইক,ইস্পিকার, এতে তাদের মাঝে দুর্ঘটনার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এলাকাবাসী।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।