July 29, 2025, 4:20 pm
সর্বশেষ:
গারদ খানার মতো মেঘনার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে দেশে নৈরাজ্যের আশঙ্কা এসবির, সব জেলায় সতর্কবার্তা সত্যের কলম রক্তাক্ত: মেঘনায় সাংবাদিক নিপীড়নের শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা বাতিলের রায় বহাল The Guardian of Democracy — Tarique Rahman মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি ১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো

২৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি কিশোর আনিছের

১৩ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

কুষ্টিয়ার মিরপুরের দরিদ্র ভ্যানচালক কিশোর আনিছের ২৩ দিনেও কোনো খোঁজ মিলেনি।

মিরপুর পৌর এলাকার সুলতানপুর গ্রামের আনিছ (১৫) গত ২২ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয়। পরদিন সকালে পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলার বিত্তিপাড়া গ্রামের স্কুল চত্বরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ভ্যানটি উদ্ধার হলেও অদ্যাবধি আনিছের সন্ধান পায়নি তার পরিবার।

এ ঘটনায় মা দোলেনা খাতুন মিরপুর থানায় জিডিও করেছেন। কিন্তু এখনো আনিছের কোন সন্ধান বের করতে পারেনি পুলিশ।  এতে তার পরিবার ও এলাকাবাসী চরম হতাশ। আনিছের সন্ধানে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি পুলিশের।

মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী বাবা তোজুল ও মা দোলেনা খাতুন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ও জীবিকা নির্বাহের অবলম্বন এই কিশোর ছেলেটি। শেষ সম্বল বাড়ির গাছ বিক্রির ও এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকায় কিছুদিন আগেই ভ্যানটি কিনে দিয়েছিলো আনিছকে। কোন রকম চলছিলো পরিবারের অন্ন যোগাড়। এখন সেই অবলম্বনটুকুও হারিয়ে যাওয়ায় পরিবারটি এখন দিশেহারা।

মা দোলেনা খাতুন জানান, ঘটনার দিন নিজেরাই সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে রাতেই মিরপুর থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ জানায় এতো রাতে আমরা কোথায় খোঁজ করব? সকালে আসেন আপনার জিডি নেওয়া হবে। পরদিন সকালে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ভ্যানটি পাওয়ার পর পুলিশ আমাদের জিডি নিয়েছেন। কিন্তু এখনো আনিছের কোনো খোঁজ পায়নি পুলিশ।

ভ্যানটি উদ্ধারস্থলের দোকানী সান্টু রায়হান বলেন, গত ২২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কে বা কারা ভ্যানটি স্কুল চত্বরে রেখে চলে যায়।  প্রথমে কিছু বুঝে উঠতে পারি নাই। পরে যখন দেখি ভ্যানটি আর কেউ নিতে আসছে না, তখন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ভেড়ামারা থানা পুলিশকে জানাই। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে ভ্যানটি থানায় নিয়ে যান। পরে জানতে পারি আনিছ নামের ভ্যানচালক নিখোঁজ।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, নিখোঁজ আনিছের সন্ধান বের করতে প্রযুক্তিগত পদ্ধতি ব্যবহারসহ সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা