১৫ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঢাকার চারপাশে যেসব ব্রিজ নৌ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে সেগুলোকে ভেঙে নতুন নির্মাণ করা হবে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকার চারপাশের নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য গঠিত মাস্টারপ্ল্যান কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য গঠিত মাস্টারপ্ল্যান কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিসহ যে সব মন্ত্রণালয় অথবা অধিদপ্তর থেকে ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন ব্রিজ ভেঙে নৌ চলাচলের উপযোগী করে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি বলেন, নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধিসহ রাজধানীর উন্নয়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর কিংবা সংস্থা থেকে অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে ওভারল্যাপিং অর্থাৎ একই কাজের জন্য একাধিক প্রকল্প রয়েছে কি না তা যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পসমূহে অব্যবস্থপনা দূর করে সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় করে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের গৃহীত প্রকল্পের তালিকা চাওয়া হয়েছে। সব প্রকল্পগুলোকে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে আনা হবে।
ঢাকার চারপাশে নদীর ৯০ শতাংশ দখলমুক্ত হয়েছে এবং কিছু জায়গায় মসজিদ, মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকায় জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির কাজে ধীর গতি এসেছে। অবৈধভাবে যে কেউ নদ-নদী, খাল-বিল দখল করে রাখুক না কেন তাদের উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে চিহ্নিত খালগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটি সংযোগ স্থাপন করার লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য দুই পাশে ওয়াকওয়ে এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।
মাস্টার প্ল্যানের সময়সীমা সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মাস্টার প্ল্যানের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দশ বছর মেয়াদি এ প্ল্যানের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।