১৬ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
সিলেটের জৈন্তাপুর ও গোয়াইন ঘাট এলাকার তের হাজার একর ভূমি বন বিভাগের বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) ৩৫ বছর আগে বন বিভাগের অধীনে বিশাল আয়তনের এ ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত গেজেট বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
১৯৮৫ সালে সরকারের জারিকরা ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রায় আড়াইশত ব্যক্তির দায়েরকরা দুটি রিট আবেদন খারিজ করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ রায়ের ফলে ১৩ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের অধীনে থাকছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রিট আবেদনকারীরা নিজেদের মহাজির দাবি করে হাইকোর্টে গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু মামলার শুনানিকালে আবেদনকারীরা মহাজির প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হাইকোর্ট রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালত বলেছেন গেজেটটি যথাযথভাবে জারি করা হয়েছে। বনায়নের জন্যই এ গেজেট করা হয়েছে। কারন বনভূমি রক্ষা করা না গেলে পরিবেশের বিপর্যয় হবে। এই রায়ের ফলে সরকারের বিশাল ভূমি রক্ষা পেল।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দেশ বিভাগের পরে (১৯৪৮-৬৫) আসাম ও ত্রিপুরা থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অভিবাসী হিসেবে সিলেট অঞ্চলে তারা অবস্থান নেন। তখন তাদের পরিচিতির জন্য মহাজির কার্ড দেওয়া হয়। ১৯৫১ সালে তৎকালীন সরকার সিলেট অঞ্চলে তাদের জীবিকা নির্বাহ ও বসবাসের জন্য কিছু ভূমি বন্দোবস্ত দেয়। কিন্তু ১৯৮৫ সালের ২০ আগস্ট সরকার বনায়নের লক্ষ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার ১৩ হাজার একর ভূমি বন বিভাগের অধীনে ন্যাস্ত করে। সরকারের জারিকরা এ গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে আব্দুল মোতালেব, ওসমান আলীসহ ১৭০ জন এবং ২০১৪ সালে রফিকুল ইসলাম ও ফরমান আলীসহ ৬৭ জন বাদী হয়ে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গেজেটের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন। শুনানি শেষে জারিকরা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।