July 29, 2025, 8:08 pm
সর্বশেষ:
গারদ খানার মতো মেঘনার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে দেশে নৈরাজ্যের আশঙ্কা এসবির, সব জেলায় সতর্কবার্তা সত্যের কলম রক্তাক্ত: মেঘনায় সাংবাদিক নিপীড়নের শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা বাতিলের রায় বহাল The Guardian of Democracy — Tarique Rahman মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি ১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো

একমাত্র ছেলের কারণে ঘরছাড়া কোটিপতি বাবা

চট্টগ্রাম, পাঁচ, প্রবেশপথ, অবরুদ্ধ, পূর্বপশ্চিমবিডি

১৬ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

পুত্রসন্তান ঘরে আসার পর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো খুশি হয়েছিলেন এমএ হাশেম (৭৫)। বৃদ্ধ বয়সে সেই পুত্রের কারণেই হয়েছিলেন ঘর ছাড়া। চার মাস বাইরে বাইরে থাকার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে রোববার (১৫ নভেম্বর) সকালে পুলিশ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিজের ঘরে উঠেছেন তিনি।

চার মাস নিজ বাড়িতে ফিরে এলেও আবারো পুত্র এসে তাকে হুমকি দিয়ে গেছে। বিপুল সম্পত্তির মালিক এম এ হাশেম। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডে তার বাড়ি। সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় সন্ত্রাসী দিয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছিল তার ছেলে। সে জন্যই বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল তাকে।

হতভাগ্য পিতা এমএ হাশেম বলেন, সন্তান বৃদ্ধ বয়সে আমাদের ঘরছাড়া করবে, কল্পনাও করতে পারিনি।

এমএ হাশেমের স্ত্রী নুরুন্নেছা (৬০) জানান, অসহায়ের মতো প্রাণ হাতে নিয়ে আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে হয়েছিল। পুত্রবধূ ঘরে আনার পর গত ৫ বছর ধরেই কেঁদে চলেছি। গত চার মাসে যা কেঁদেছি, সারাজীবনেও তত কাঁদতে হয়নি। এমন কুলাঙ্গার সন্তান যেন আল্লাহ আর কাউকে না দেন।

ছেলের হুমকির কারণে এখনো শঙ্কায় আছেন এমএ হাশেম। তাই বলেছেন, আবারও যাতে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমাকে হতে না হয়, সেজন্য সবার সহযোগিতা চাইছি।

বন্দর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, শুনেছি ছেলে এসে আবারও হুমকি-ধমকি দিয়েছে। অভিযুক্ত সেই ছেলেকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

২০১৫ সালে ছেলে মোহাম্মদকে ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার পর ব্যবসা করার জন্য কদমতলীতে কোটি টাকার দোকান দেন। কিন্তু বিয়ের চার মাসের মাথায় স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান মোহাম্মদ। এরপরই সব সম্পত্তি তার নামে লিখে দেয়ার জন্য মা-বাবার ওপর চাপ দিতে থাকেন। ৪ বোনের কেউ যাতে বাবার বাড়িতে আসতে না পারে, সে ব্যবস্থা করতে বলেন। সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় কয়েক দফা মারতেও যান মা-বাবাকে। সমাজের সরদার হিসেবে মানুষের বিচার করে অভ্যস্ত এমএ হাশের নিজের সন্তানের এমন বেপরোয়া আচরণে দিশেহারা হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দিয়ে দেয়ার জন্য একটি দলিলও করে ফেলেন। এতে ক্ষান্ত না হওয়ায় ট্রাস্টের দলিল অবলোপন করেন।

গত ১৭ জুলাই শুক্রবার সন্ত্রাসী ভাড়া করে বাড়ি ঘেরাও করে ভাংচুর চালান এবং দরজা ভেঙে সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ঘরে আগুন দিয়ে মা-বাবাকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দিতে থাকে। ৯৯৯-এ ফোন করা হলেও সাড়া দেয়নি পুলিশ। দিশেহারা এই দম্পতি রাত সাড়ে ৩টার দিকে তারা এক মেয়ের বাসায় গিয়ে উঠে। পুলিশ মামলা না নেয়ায় তারা ২০ জুলাই আদালতে মামলা করেন।

পুলিশের সাড়া না পেয়ে ৭ নভেম্বর তারা ছুটে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে নিজ বাড়িতে তুলে দেয়ার ব্যাপারে তার সহায়তা চেয়ে বিস্তারিত লিখিতভাবে অবহিত করেন। এরপরই পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে ৯ নভেম্বর।মামলায় পুত্র মোহাম্মদ ও পুত্রবধূ সুমাইয়াসহ তিনজনকে আসামি করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা