August 1, 2025, 10:40 pm
সর্বশেষ:
মেঘনায় এলজিইডির উদ্যোগে ৯টি নতুন ব্রীজ ও ৩৪ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প সয়েল টেস্ট সম্পন্ন, দ্রুত শুরু হচ্ছে নির্মাণ কাজ ১০২ এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার ৬০ প্রকল্পের শত ঠিকাদার, টাকা তুলে নিয়ে উধাও গারদ খানার মতো মেঘনার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে দেশে নৈরাজ্যের আশঙ্কা এসবির, সব জেলায় সতর্কবার্তা সত্যের কলম রক্তাক্ত: মেঘনায় সাংবাদিক নিপীড়নের শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা বাতিলের রায় বহাল The Guardian of Democracy — Tarique Rahman মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি

খুলনায় ভ্যানচালক হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

২৩ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

খুলনায় ভ্যানচালক ইমরান সরদার (৪২) হত্যা মামলায় আমীর আলী মীর ওরফে কাউসার (৪২) নামে এক যুবকের ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

একই সঙ্গে ৩৭৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপরে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণাকালে আসামি কাউসার আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। কাউসার তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের আফসার আলী মীরের ছেলে।

আদালত সূত্র জানায়, রূপসা উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের ইউসুফ সরদারের ছেলে ভ্যানচালক ইমরান সরদারের শ্যালিকা লতার সঙ্গে পাশ্ববর্তী তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের কাউসারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনাটি ইমরান জানতে পেরে কাউসারকে শ্যালিকা লতার সঙ্গে প্রেম করতে বাধা দেয়। এতে সে ইমরানের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়।

২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে ইমরান ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাতে তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। পরের দিন সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ নন্দনপুর-জোয়ালবাঁধাল রাস্তার পার্শবর্তী একটি সুপারি বাগান থেকে ইমরানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। তবে ওই সময় তার ভ্যানটি পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় নিহত ইমরানের বাবা ইউসুফ সরদার বাদী হয়ে রূপসা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ কাউসারকে গ্রেপ্তার করলে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা জব্দ করা হয়।

ওই বছরের ২ জুলাই রূপসা থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) শাহিনুর রহমান কাউসরারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট মো. এনামুল হক ও এপিপি অ্যাডভোকেট এম ইলিয়াস খান। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসিনা আক্তার।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা