August 3, 2025, 8:29 am
সর্বশেষ:
অধিকারের জমি নয়, দুর্বৃত্তের লুটের শিকার গ্রামবাংলা সাধারণত্বেই অসাধারণ: তারেক রহমানের নেতৃত্বের পাঠ ইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেঘনায় বিএনপির সভা মেঘনায় এলজিইডির উদ্যোগে ৯টি নতুন ব্রীজ ও ৩৪ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প সয়েল টেস্ট সম্পন্ন, দ্রুত শুরু হচ্ছে নির্মাণ কাজ ১০২ এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার ৬০ প্রকল্পের শত ঠিকাদার, টাকা তুলে নিয়ে উধাও গারদ খানার মতো মেঘনার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে দেশে নৈরাজ্যের আশঙ্কা এসবির, সব জেলায় সতর্কবার্তা সত্যের কলম রক্তাক্ত: মেঘনায় সাংবাদিক নিপীড়নের শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

৯ কোটি টাকার সাপের বিষসহ ২ পাচারকারী আটক

২৬ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা মূল্যের সাপের বিষসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাপের বিষ ক্রয়-বিক্রয় ও পাচারকারী চক্রের মো. মামুন তালুকদার (৫১) ও মো. মামুনকে (৩৩) আটক করা হয়।

এ সময় দুটি বড় লকার ও ছয়টি কাচের কৌটায় সংরক্ষিত সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেকটি বােতলের গায়ে লেখা— COBRA Snake Poison of France, Red Dragon Company, Cobra Code No-80975, Made in France।

সিআইডি বলছে, বাংলাদেশে সাপের বিষ ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো বৈধতা নেই। মূলত সাপের বিষ পাচারের জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল পাচারকারীরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিআইডি ঢাকা মেট্রোর একটি টিম গাজীপুরের বাসন থানা এলাকা থেকে সাপের বিষ ক্রয়-বিক্রয় ও পাচারকারী একটি চক্রের কয়েকজন সদস্যকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তকালে গােপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি জানতে পারে, এরকম আরও কয়েকটি বড় ধরনের পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে সাপের বিষ পাচারকারী চক্রের মূলহােতা মামুন তালুকদার ও তার সহযোগী মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।

রেজাউল হায়দার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সাপের বিষ পাচার হয়। এটার বৈশ্বিক মার্কেট রয়েছে, তবে বাংলাদেশে বিক্রির কোনো বৈধতা নেই।

তিনি বলেন, দেশের বাইরে থেকে এ সাপের বিষ কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশে এসেছে। দু-তিন হাত ঘুরে হয়তো এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার হতো। সাপের বিষ ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালে এটি ব্যবহারের বৈধতা নেই। যে কারণে এটি বাংলাদেশে ব্যবহারের সুযোগও নেই। আমরা এখনো নিশ্চিত না যে এটা ঠিক কোন দেশ থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এটা এলসির মাধ্যমে আনা হয়নি। জব্দ করা বিশ্বের কনটেইনারগুলোতে লেখা দেখা গেছে ‘মেড ইন ফ্রান্স’।

এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল হায়দার বলেন, যথাসম্ভব এ অবৈধ সাপের বিষ পাচারের জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। পুরো তদন্ত শেষ হলে এটা স্পষ্ট হবে কে বা কারা কোন জায়গা থেকে আমদানির পর এটা পাচার করছিল। ইতোমধ্যে কয়েকটি চালান বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়ার তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর এই চক্রের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও সাত-আটজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। যেহেতু সাপের বিষ লেনদেন ক্রয়-বিক্রয় এবং পাচার আইনত অপরাধ, আটক দুজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা