November 25, 2024, 1:15 pm

১০ হাজার কিমি নৌপথ তৈরি করা হবে : নৌপ্রতিমন্ত্রী

২৭ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী তার সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করতে সক্ষম হবে বলে জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের নৌপথ উন্নয়নের কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া-নগরবাড়ি-আরিচা নৌপথের টেন্ডার ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। অল্প কিছুদিন পরই ঠিকাদাররা ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে যাবে।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামে আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ১০০তম জন্মোৎসব উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব  কথা বলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মংলা থেকে রুপপুর পর্যন্ত ৯৯৫ কোটি টাকার নৌরুটের কাজ চলমান আছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ডিপিপি অনুমোদনের কাজ চলছে। উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি নগরবাড়ী থেকে ফেরি সার্ভিস আবার চালু হবে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে নবনির্মিত পাবনা মেরিন একাডেমিতে কমান্ড্যান্ট নিয়োগ হয়েছে। এই শিক্ষাবর্ষে কিছু বিষয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। আগামী জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা মেরিন একাডেমির উদ্বোধন করবেন।

এর আগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ওসাকা’ কার্যালয় চত্বরে স্থানীয় ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পাঠাগার’ ও ‘চরনিকেতন কাব্য মঞ্চের’ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর ১০০তম জন্মোৎসরের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। ওসাকার চেয়ারম্যান কবি গবেষক মজিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কবি আসলাম সানী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতা মহান ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাই যতদূর বাংলা ভাষা, ততোদূর বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনন্তকাল ইতিহাসের অমরকীর্তি। অন্যদিকে খুনি জিয়া-মোস্তাকসহ যে সব কুলাঙ্গারেরা জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে ইতিহাসে তারা অনন্তকালই নিন্দিত ও ঘৃণিত।’

সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আখতারুজ্জামান আখতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, শিশু সাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।

এর আগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে অনুষ্ঠান ঘিরে প্রকাশনা স্মারক গ্রন্থ ‘শুভনীড় মুজিববর্ষে উন্নয়ন স্পর্শে’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

অন্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে শ্রদ্ধার্ঘ্য, আলোচনাসভা, সেমিনার, ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা