July 27, 2025, 5:48 am
সর্বশেষ:
মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি ১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো মেঘনা ‘দূর্গম’ কেন—পুনর্মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি মেঘনায় খাস জমি, হালট ও খাল উদ্ধারে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা দরকার মেঘনায় টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ: বেলে মাটি, অনিয়ম ও ভাঙনের গল্প শিক্ষা সবার জন্য—টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম মেঘনায় বিএনপির ৩১ দফা নারীদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: নেতৃত্বে চাই ছাত্রী-নারী সক্রিয়তা

আফগানিস্তানে বিক্রি হওয়া বাংলাদেশি নারীর ফেরার আকুতি

৩০ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

আজ থেকে ৪০ বছর আগে পাকিস্তানে বিক্রি হওয়া শোভা নামের এক বাংলাদেশি নারী ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে আছেন। তিনি সেখান থেকে ফিরতে সরকারের সাহায্য চেয়েছেন।

আফগানিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ফাজকের সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মাফতুনের কাছ থেকে শোভার খবর মিলেছে।

শোভাকে উদ্ধৃত করে সাইফুল্লাহ মাফতুন জানিয়েছেন, ১৩ হাজার রুপিতে বাংলাদেশি এই নারীকে পাকিস্তান থেকে কিনে নেন আফগানিস্তানের এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তি শোভাকে বিয়ে করেন। তার আরও দুই স্ত্রী আছে।

শোভার বাড়ি ঢাকায়। বাংলাদেশে তার বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে দুই সন্তান-জাকির হুসেইন এবং মুজিবুর রহমান।

শোভা জানিয়েছেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর দেবরদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে তার বিরোধ দেখা দেয়। জায়গা-জমি লিখে না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা।

শোভা একদিন অসুস্থ হয়ে পড়লে দেবর তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকের সহায়তায় শোভাকে অজ্ঞান করা হয়।

শোভার কথায়, ‘আমার বাকি ঘটনা মনে নেই। জ্ঞান ফিরে বুঝতে পারি আমি পাকিস্তানে আছি। দেরা ইসমাইল খান নামের এক লোক জানায়, সে আমাকে কিনে এনেছে।’

‘লোকটা আমাকে বলেছিল, যারা তার বাড়িতে আসে, সবাইকে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে দুই-তিন জনকে বিক্রি করা হয়।’

এভাবে একদিন শোভাকে কিনে নেন আফগানিস্তানের আবদুল হাবিব। তার সঙ্গে গজনী প্রদেশের কারাবাগ জেলায় ২০ বছর ধরে সংসার করছেন তিনি।

আফগান স্বামীর সংসারে শোভার কোনো সন্তান নেই।

শোভা একটি দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে বড় ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। ছোট ছেলে মারা গেছে আগেই।

শোভা জানিয়েছেন, শেষ বয়সে তিনি আর আফগানিস্তানে থাকতে চান না। ফিরতে চান নাতিনাতনিদের কাছে। কিন্তু অর্থের অভাবে ফিরতে পারছেন না।

শোভার আফগান স্বামী বলছেন, ‘ও বাংলাদেশে গেলে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পাঠানোর মতো অত অর্থ আমার নেই। বিত্তবানদের সাহায্য পেলে শোভা তার ছেলের কাছে ফিরতে পারবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা