July 10, 2025, 5:43 pm
সর্বশেষ:
মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি মেঘনায় পতিত সরকারের পরেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় সামাজিক বিপর্যয় বেড়েই চলছে

লাখ টাকা মুচলেকায় জামিন পেলেন সগিরা মোর্শেদের জা

২ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

তিন দশক আগে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলায় তার জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৪) জামিন পেয়েছেন।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।

সায়েদাতুল মাহমুদার পক্ষে জামিন আবেদন করেন এহেসানুল হক সমাজী, মোশাররফ হোসেন কাজল।  রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এক লাখ টাকা মুচলেকায় আগামী ধার্য তারিখ ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত তার অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে এদিন চার আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।

বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন-সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০), শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান (৫৯) ও মারুফ রেজা (৫৯)।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়।  ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়।  ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২৩ মে বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করেন।

পরের বছরের ২৭ আগস্ট অন্য এক আদেশে হাইকোর্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান।  এরপর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মামলার অধিকতর তন্ত আদেশে ইতিপূর্বে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। গত ৯ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা