July 29, 2025, 5:55 pm
সর্বশেষ:
গারদ খানার মতো মেঘনার সাব-রেজিস্ট্রি অফিস পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত না হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে দেশে নৈরাজ্যের আশঙ্কা এসবির, সব জেলায় সতর্কবার্তা সত্যের কলম রক্তাক্ত: মেঘনায় সাংবাদিক নিপীড়নের শ্বাসরুদ্ধ পরিবেশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা বাতিলের রায় বহাল The Guardian of Democracy — Tarique Rahman মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি ১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো

নিলামে উঠলো ১৭০টি বন্যহাতি

৪ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

খরা ও অনিয়ন্ত্রিত সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দেড় শতাধিক অত্যন্ত মূল্যবান হাতি নিলামে বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ নামিবিয়া। গত বুধবার দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, ১৭০টি হাতি বিক্রি করে দেয়া হবে। রাষ্ট্রীয় দৈনিক নিউ এরা প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইদানীং হাতিগুলো লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। মানুষের সঙ্গে হাতির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। মানুষ ও হাতি উভয়েই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির কারণে মূলত পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিছু হাতি বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শিকার, বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসা এবং বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে পড়ার কারণে নামিবিয়ার হাতিগুলো বিলুপ্তির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বেশ কয়েকটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মধ্যে এই হাতিগুলো অন্যতম।

নামিবিয়ার পরিবেশ, বন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, নামিবিয়া বা বিদেশে যে কেউ নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে হাতিগুলোকে নিলামে কিনতে পারবে। মানদণ্ডের মধ্যে সঙ্গনিরোধ সুযোগসুবিধা এবং যেখানে হাতিদের রাখা হবে সেই স্থানটির অবশ্যই গেম-প্রুফ ফেনস (বিশেষ বেড়া) সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

বিদেশী ক্রেতাদের অবশ্যই প্রমাণ দিতে হবে যে তাদের দেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ তাদের দেশে হাতি রফতানি করার অনুমতি দেবে।

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মতো, নামিবিয়া হাতি এবং গন্ডারের মতো মূল্যবান প্রজাতির সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এসব প্রাণী বর্তমানে মানুষের আবাসন এলাকাগুলোতে প্রায় ঢুকে পড়ছে। এতে যে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তা সামলানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশগুলোর সরকার।

নামিবিয়ার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মসূচি ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে। এর ফলে দেশটিতে হাতির সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে হাতির সংখ্যা ১৯৯৫ সালের চেয়ে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি বেড়ে ২০১৪ সালে ২৪ হাজারে দাঁড়ায়।

তবে গত বছর নামিবিয়া বলে, তারা বিপন্ন প্রজাতির বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণমূলক আইনগুলো প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা করছে। সিআইটিইএসের বৈঠককালে তার সাদা গন্ডার শিকার ও রফতানিতে নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করার প্রস্তাব ভোটে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর একথা বলে নামিবিয়া।

ট্রফি হিসেবে শিকার এবং জীবন্ত প্রাণী রফতানির অনুমতি দিতে চায় নামিবিয়া। তাদের যুক্তি, এতে তারা যে পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে তা প্রজাতিগুলোকে রক্ষা করতে ব্যয় করা যাবে।

চারণভূমির ওপর চাপ কমাতে গত অক্টোবরে নামিবিয়া মধ্যাঞ্চলের ওয়াটারবার্গ মালভূমি পার্ক থেকে ৭০টি স্ত্রী এবং ৩০টি পুরুষ মহিষ বিক্রির জন্য নিলাম ডেকেছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকার খরাপ্রবণ দেশটি ২০১৯ সালে ৫০০টি মহিষসহ জাতীয় উদ্যান থেকে এক হাজার প্রাণী নিলাম করেছিল। এবছর এক শতকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছিল নামিবিয়া।

সূত্র: সিএনএন


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা