৫ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
ফ্রান্সের সঙ্গে সমস্ত প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়েছে গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ। শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে উম্মাহ’র দায়িত্ব ও কর্তব্য শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ দাবি জানান।
মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে সেমিনারে বক্তারা বলেন, সমস্ত মুসলিম দেশ থেকে ফ্রান্সসহ সকল দুশমনে রসূলসহ তাদের সকল পণ্য বয়কট করতে হবে। ফ্রান্সের সঙ্গে সমস্ত প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ওআইসি’কে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে একযোগে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কঠিন বদ দুআ করছি। আমাদের অন্তরের অন্তস্থলের কামনা, পানি আগুন আর বাতাসের তান্ডবে ফ্রান্স একাকার হয়ে যাক। ফ্রান্স নামক ভূমি ইতিহাস হতে চিরতরে হারিয়ে যাক। তাদের সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িকসহ সব সম্পর্ক ছিন্ন। তাদের সাথে যারা সম্পর্ক রাখবে, তারা মুসলমানদের থেকে বিচ্ছিন্ন।
তারা বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয় ফ্রান্স, ডেনমার্ক-নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ দ্বীন ইসলাম এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যঙ্গচিত্র অংকন ও মানহানির ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে।
এ রাষ্ট্রগুলো বাক-স্বাধীনতার নামে বাক-আক্রমণকে বৈধ করতে চায়। লক্ষণীয়, ফ্রান্সসহ ১৬টি দেশে বাক-স্বাধীনতা হলোকাস্টের বিরুদ্ধে গেলে, তারা আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। কিন্তু তাদের কথিত বাক-স্বাধীনতা যখন ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে যায়, তখন সেটাকে আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে না।
বক্তারা বলেন, আইন ও বিচারহীনতায় ক্ষুব্ধ মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিলেই সুযোগ পায় বিদেশি সাম্রাজ্যবাদীরা। ‘সন্ত্রাসী তকমা’ দিয়ে রাষ্ট্রের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপের সুযোগ নিতে চায়। কিন্তু যখন রাষ্ট্র নিজেই সু-নির্দিষ্ট ও পর্যাপ্ত আইনের ভিত্তিতে অপরাধী তথা সাংবিধানিক রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম ও প্রাণপ্রিয় নবীর কটুক্তিকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবে তখন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো কখনই এ সুযোগ নিতে পারবে না।
তারা বলেন, সম্প্রতি আমাদের দেশে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারকে মানহানীকর অপতৎপরতা আশঙ্কাজনক পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলনে আলোচনা করেন, মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মুফতিয়ে আ’যম, গবেষণাকেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফের প্রধান গবেষক আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ এবং মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফের মুহতামিম ও গবেষক আল্লামা মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন, গবেষক মুহম্মদ মশিউজ্জামান বেলাল প্রমুখ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।