৮ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
গতকাল সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে মেহেরপুরের গাংনির বাড়ি থেকে বাকিতে দেওয়া পণ্যের টাকার তাগাদায় বেরিয়েছিলেন জাফর ইকবাল (৫২)। সারাদিন তার কোনো খোঁজ নেই। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এমনটা হয় না সচরাচর। রাত হয়ে আসে। বাড়ে উৎকণ্ঠা। রাতেই গাংনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জাফর ইকবালের কলেজ পড়ুয়া ছেলে পিয়াস। উৎকণ্ঠায় রাত পার করে পরিবার।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পাওয়া গেলো জাফর ইকবালের খবর। তখন তিনি সকল তাগাদার ঊর্ধে চলে গেছেন।
কুষ্টিয়ার মিরপুরের বালিদাপাড়া এলাকার জিকে খাল পাড়ের একটি ইপিল ইপিল বাগান থেকে উদ্ধার করা হয় জাফর ইকবালের লাশ। একটি গাছের সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস পরানো এবং দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
জাফর ইকবাল মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুল হকের ছেলে। তিনি মুরগীর বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ী ছিলেন।
জাফর ইকবালের ছোট ভাই সানাউল্লাহ জানান, গতকাল সোমবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিক্রিত মালামালের পাওনা টাকা আদায় করতে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান তার ভাই। সারাদিন তার কোনো খোঁজ না পেয়ে গতকাল রাতে গাংনী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে ভাতিজা পিয়াস।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মিরপুর থানা পুলিশের কাছ থেকে ভাইয়ের লাশ উদ্ধারের সংবাদ পায় পরিবার।
সানাউল্লাহ আরও জানান, তার ভাইয়ের কাছ থেকে অনেকেই বাকীতে মালামাল কেনে। অনেকের কাছেই টাকা পাওনা আছে। টাকা আদায় করতে গিয়েই ভাইয়ের মৃত্যু হলো বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাটায়। লাশের সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
তবে ঠিক কী কারণে জাফর ইকবালের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে জানা যাবে। এটি আত্মহত্যা না কি হত্যা পুলিশ সেটি নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানান ওসি গোলাম মোস্তফা।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।