July 10, 2025, 7:09 pm
সর্বশেষ:
তারেক রহমানের নির্দেশে ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি

আমি যেন বন্দি শিবিরে: শেখ হাসিনা

১৬ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

করোনা পরিস্থিতির কারণে বিজয় দিবসের রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত থাকেননি প্রধানমন্ত্রী। দলের আলোচনা সভাতেও তিনি অংশ নিয়েছেন বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি। এই পরিস্থিতি ভালো লাগছে না বঙ্গবন্ধু কন্যার। মনে হচ্ছে তিনি বন্দি শিবিরে।

স্বশরীরে আলোচনা সভায় উপস্থিত হতে না পারায় নিজের কষ্টের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খুব কষ্ট লাগছে, দুঃখ লাগছে। সবাই ওখানে বসে আছে আর আমি দূরে বন্দিশিবিরে আরেকটা জেলখানার মতো বসে আছি। করোনা নামক বন্দিশিবির থেকে কবে মুক্তি পাবে সারা বিশ্ব। এখান থেকে কিভাবে মুক্তি আসবে সেটাই বড় কথা।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় (ভার্চ্যুয়াল) এ কথা বলেন তিনি। সভায় গণভবন থেকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন।

শিগগির ভ্যাকসিন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন আসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। ইতোমধ্যে আমাদের চুক্তিও হয়ে গেছে। আমরা আশা করি তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন পেয়ে যাবো। তারপরও বলবো আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে সবাই সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন, মাস্কটা পরে রাখবেন। একটু দূরত্ব বজায় রাখবেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষা রেখে মানুষের সেবা করা।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ভাইরাস হলেও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক গতিটাকে অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ যে আজকে এগিয়ে যাচ্ছে এ গতি আমরা চলমান রাখার চেষ্টা করছি’।

তিনি বলেন, সরকার হিসেবে জনগণের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব সে দায়িত্ব আমরা যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে বলবো, যেকোনো পরিস্থিতি সহনশীলতার সঙ্গেই মোকাবিলা করতে হয়, সেটাই করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা ওঠার চেষ্টা হয়েছে। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান সুযোগ নিয়ে চলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা বলবো এই মাটিতে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সব ধর্ম; অর্থাৎ আমরা মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ আছি বলে অন্য ধর্মের মানুষকে অবহেলার চোখে দেখবো তা নয়। মনে রাখতে হবে সকলে এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে রক্ত ঢেলে দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে। এদেশের মাটিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি সবাইকে এইটুকু বলবো যেকোনো পরিস্থিতি সহনশীলতার সঙ্গেই আমাদের মোকাবিলা করতে হয়, সেটাই করতে হবে। আর কে কি বললো, না বললো সেগুলো শোনার থেকে আমরা কতটুকু দেশের জন্য করতে পারলাম সেটিই আমাদের চিন্তায় থাকবে। তাহলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবো, সঠিক কাজ করতে পারবো। সেভাবে আমরা করে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে অনুরোধ করবো আমাদের সংগঠনটাকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। যে নামটি ৭৫ এরপর মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল, আজকে আপনারা জানে ইউনেস্কো ঘোষণা দিয়েছে যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেওয়া হবে, অর্থনীতিতে যারা অবদান রাখতে পারবে তাদের। মুজিববর্ষে জাতির জন্য এটা বড় উপহার বলে মনে করি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও বলবো প্রতিটি সময় আপনারা মানুষের পাশে দাঁড়ান। এই করোনা ভাইরাসের সময় আমাদের প্রতিটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফলে অনেক মানুষের সেবা করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন।

তিনি বলেন, মানুষের সেবা করা আওয়ামী লীগের কাজ এবং সেই সেবা আমরা করে যাচ্ছি, সেই সেবা আমরা করে যাবো। আমরা আগামীর জন্য কর্মসূচি নিয়েছি যে আজকের বাংলাদেশকে আমরা সামনে নিয়ে যাবে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম; ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহাম্মদ মন্নাফি।

সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা