July 11, 2025, 12:40 pm
সর্বশেষ:
তারেক রহমানের নির্দেশে ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি

দুই সিটি করপোরেশনের হাতে ওয়াসার ২৬ খাল

৩১ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে থাকা ঢাকা ২৬টি খালের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের রুপসী বাংলা গ্রান্ড বলরুমে ওয়াসা, ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে এসব খাল হাস্তান্তর করা হয়।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এখন ঢাকার ২৬টি খাল ওয়াসার কাছ থেকে ডিএনসিসি এবং ডিএসসিসিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওই দুটি সংস্থা করবে। এতে নগরে আর জলাবদ্ধতা হবে না।

খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণে অনেকটা সমন্বয়হীনতার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালের আগে ঢাকার খালগুলো তদারকি করতো তৎকালীন ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন। কিন্তু কোনো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ওই খালগুলো ওয়াসার কাছে গেল তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তাই এতেদিন খালগুলো রক্ষণাবেক্ষণে অনেকটা সমন্বয়হীনতা ছিল।

অনুষ্ঠানে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আজ ঢাকাবাসীর জন্য ঐতিহাসিক দিন। আশা করি আসন্ন বর্ষায় ঢাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর রাজনৈতিক নেতৃত্বে ওই কার্যক্রম সফল করা হবে।

‘ইতোমধ্যে জিরানি খাল, শ্যামপুর খাল, মান্ডা খাল থেকে সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে ওই তিনটি খাল এবং দুটি বক্স কালভার্ট থেকে আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু করা হবে। আগামী মার্চের মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হবো। পরে জুনের মধ্যে ডিএসসিসির কালুনগর খালসহ বাকি খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করা হবে।’

তাপস বলেন, ডিএসসিসির খালগুলো বর্জ্যমুক্ত করার পর খাল পাড়ের সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে ৯০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে। প্রস্তাবটি পাস হলে নাগরিকেরা তার সুবিধা পাবেন।

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির অধীনে থাকা সবগুলো খাল তারাও পরিষ্কার করেছে। তাই চলতি বছর নগরে জলাবদ্ধতা হবে। এছাড়া এসব খালের সৌন্দর্য বাড়াতে ডিএনসিসিও প্রকল্প নিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা