০৩ জানুয়ারী ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
এখনকার পাকিস্তান দলের পেসারদের বয়সের প্রমাণপত্র নাকি জাল, তাদের আসল বয়স নাকি নয় থেকে ১০ বছর বেশি। এমনই মারাত্মক অভিযোগ পাকিস্তানের এক সাবেক পেসারেরই। তিনি মোহাম্মদ আসিফ। তার আফসোস, বয়স বেশি হওয়ার জন্যই এখন পাক পেসাররা বড় স্পেলে বল করতে পারেন না।
এ সপ্তাহেই নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০১ রানে টেস্টে হেরেছে পাকিস্তান। এ রকম একটা অবস্থায় অসিফের মন্তব্যে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।
ইউটিউব চ্যানেলে এক অনুষ্ঠানে আসিফ বলেন, ওদের বয়স অনেক। কাগজে-কলমে দেখানো হয় ১৭-১৮। কিন্তু আসলে ওরা ২৭-২৮ বছরের।
সাবেক পাক পেসার অবশ্য আলাদা করে কারো নাম করেননি। তবে তার আরো মন্তব্য, ওদের টানা ২০-২৫ ওভার বল করার ক্ষমতাই নেই। শরীর নমনীয় নয়। তাই কিছুক্ষণ পরেই পেশি শক্ত হয়ে যায়। ৫-৬ ওভারের একটা স্পেল করার পরে মাঠেই দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা থাকে না।
গড়াপেটা কাণ্ডে জড়িয়ে যাওয়া আসিফ তার সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার ছিলেন। এখনকার পাক পেসারদের দেখে তিনি রীতিমতো হতাশ। তিনি বলেন, মনে পড়ে না গত পাঁচ-ছ’বছরে কোনো ম্যাচে আমাদের কোনো পেসার ১০ উইকেট নিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের এই টেস্টের মতো পিচ দেখলে বল করার জন্য আমাদের রীতিমতো লোভ হতো। আমি নিজে অন্তত পাঁচ উইকেট না নিলে বল ছাড়তে চাইতাম না।
এখনকার পেসারদের আরো সমালোচনা করে তিনি বলেন, এইসব ছেলেদের তো কোনো জ্ঞানই নেই। ব্যাটসম্যানদের সামনের পায়ে খেলাতেই জানে না। উইকেটে বল করতে গেলেই লেগের দিকে ফেলে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
পাক ক্রিকেটে বয়স নিয়ে সমস্যাটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এখনকার পাকিস্তান দলে পেসারদের মধ্যে শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহের বয়স বলা হচ্ছে যথাক্রমে ২০ ও ১৭। মোহাম্মদ আব্বাসের ৩০। ফাহিম আশরাফের বয়স ২৬। আসিফের অভিযোগ সত্যি হলে, এর কোনোটাই তাদের আসল বয়স নয়। সবাই আরো ৯ থেকে ১০ বছর বড়।
ইউটিউবে এই অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণও করেছেন আসিফ। তিনি বলেন, ২০০৬’তে করাচিতে হওয়া ভারত-পাকিস্তান টেস্টের কথা। তার আগের দু’টি টেস্ট ড্র হওয়ায় দু’দলই এই ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলো। আসিফ স্বীকার করেছেন তার ও শোয়েব আখতারের কাছে বিরাট উদ্বেগের বিষয় ছিলো ভারতের ব্যাটিং। শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, বীরেন্দ্র শেহবাগ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ভিভিএস লক্ষ্মণ, যুবরাজ সিংহ, মাহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিরুদ্ধে কীভাবে সাফল্য আসতে পারে তা নিয়ে ছিলো তাদের যাবতীয় চিন্তা ছিল।
আসিফের কথায়, ওদের খেলোয়াড়-তালিকা দেখে মনে হয়েছিলো, কীভাবে সবাইকে আউট করা সম্ভব! বিশেষ করে যখন সাত বা আট নম্বরে খেলবে ধোনি। মনে হয় ওরা সবাই মিলে দশ লাখ রান করে ফেলেছিলো তখন।
সেই টেস্ট কিন্তু পাকিস্তানই জিতেছিলো। আসিফ নিজে সাত উইকেট নেন দু’ইনিংস মিলিয়ে। সেই সাফল্যের জন্য তিনি কৃতিত্ব দিচ্ছেন শোয়েব আখতারকে। তার গতির সামনে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা সামনের পায়ে, না পিছনের পায়ে খেলবেন বুঝে উঠতে পারেননি।
আসিফ বলেন, শোয়েব ভাই অসম্ভব জোরে বল করেছিলো সেবারও। ভয়ঙ্কর সব বাউন্সার দিচ্ছিলো। উল্টো দিকে আমি তার সুবিধাটা নিই। বাউন্সারের জন্য ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা পিছনে পায়েই খেলছিলো।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।