১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি . কম,
মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচনে প্রকাশ্যে তুঙ্গে আওয়ামী লীগ। পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বালাই নাই। তাই আওয়ামী লীগ রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। অপরদিকে হামলা, মামলা, ধরপাকড় সন্ত্রাসী তৎপরতায় প্রচারণায় সর্বত্র পিছিয়ে বিএনপি।
আপামর জনসাধারণ বিএনপির সার্বিক অসুবিধার কথা বুঝতে পেরে মন্তব্য করেছেন। মন তো স্বাধীন। এর ওপর কোনো জোর চলে না।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনেও আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এগিয়ে ছিল। আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ভেদাভেদ ভুলে একসাথে রাত-দিন নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়ালেও বিএনপি প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের দেখা মিলছে না।
কয়েকজন সাধারণ ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলমত নির্বিশেষে এই নির্বাচনে দলের প্রতীক এবার বড় করে দেখছে না এবার। শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশার অপেক্ষায় ভোটাররা এমন মতব্যক্ত করেছেন বেশির ভাগ ভোটার।
পৌর এলাকার ভোটাররা বলেছেন, এবারের ভোট প্রদান করার আগেই যেভাবে সাধারণ মানুষ ভয়-ভীতির মধ্যে আছে। ভোটের দিন সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হলে কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভোটাররা। সাধারণ মানুষের কাছে ভোট হচ্ছে উৎসবের, কিন্তু এবারের ভোট হচ্ছে আতঙ্কের এমনি মনে করছেন ভোটাররা।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রার্থীদের তেমন কোন প্রচার-প্রচারণা করতে দেয়নি সরকার দলীয় লোকজন। হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারে সুষ্ঠু নিয়ে শঙ্কায় আমরা। ভোট কেন্দ্র না পাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কর্মীরা সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। কিন্তু ভোটাররা যদি ১৪ তারিখে ভোট দিতে পারে তাহলে বিএনপির নীরব বিপ্লব ঘটবে এবার। তাই নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান ভোটের দিন যেন সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে।
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সভাপতি সাদেক কুরাইশী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মানুষ এবারো নৌকা মার্কায় বিজয় করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জেলা রিটার্নিং অফিসার জিলহাস উদ্দিন জানান, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা যেন ভোট প্রদান করতে পারেন সেজন্য আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি। কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ভোটের দিন কোনো অরাজকতা হলে যৌথবাহিনী কঠোর হস্তে দমন করবে।
ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারা হলেন, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য আঞ্জুমানা আরা বেগম বন্যা নৌকা প্রতীক, জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ (বিএনপি) ধানের শীষ, ইসলামী আন্দোলনের আনোয়ার হোসেন হাতপাখা প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদের পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্বিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৬০ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২৯ হাজার ৭১২ জন ও মহিলা ভোটার রয়েছে ৩১ হাজার ১৫ জন। অপরদিকে রাণীশংকৈল পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩৯০ ও মহিলা ৭ হাজার ৩১২ জন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।