২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
এমএ কাশেম ভূঁইয়া :
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব-তবে সামাজিক অবক্ষয়গুলো নিয়ে যখন প্রতিবেদন বা খবর লিখি তখন মনে হয়; মানুষের চেয়ে নিকৃষ্ট আর কোন জীব হয় না।
কুমিল্লার তিতাসের কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর একজন কৃষিবিদ শিক্ষার্থী পরিক্ষামূলকভাবে নিজের পৈত্রিক ৯০শতক জমিতে চাষ করেন সূর্যমুখী ফুলের। হলুদের সমারোহ দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে ফুল প্রেমিরা ছুটে আসেন প্রতিদিন এবং সেলফী তুলে নিজের ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে আনন্দোৎসব করেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময়ে মানুষ নামের কিছু অমানুষ সেই জমির ফুল কেটে নিয়ে যায় কে বা কারা এই অপকর্মটি করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদকের নিকট মাছিমপুর গ্রামের মো.ওয়ালিদ মিয়ার পুত্র হোমনা কৃষিপ্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশন থেকে সদ্য ডিপ্লোমা করা কৃষিবিদ ওমর ফারুক (টুটুল) জানায়, পরীক্ষামূলক ভাবে মাছিমপুর-কলাকান্দি রোডে ৯০ শতক জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেন।
প্রতিদিন সূর্যমূখী ফুলের মুগ্ধতা উপভোগ করতে হাজারো তরুণ-তরুনীদের ভিড় হয়। তিনি কাউকে মন্দ বলতেন না; বরং আরো উৎসাহ পেতেন বলে জানান। শুধু তিনি নন; এলাকার কৃষকগণও সূর্যমুখী ফুলের চাষে আগ্রহ বাড়তে শুরু করে বলেও জানান। কারণ, অল্প পূঁজিতে শষ্যবিজ ও তৈল উৎপাদনে সূর্যমুখীর চাষ কৃষকের জন্য লাভজনক ও নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা হতে পারে বলেও তিনি জানান। কিন্তু দুর্বৃত্তদের এহেন কর্মকান্ডে হতাশা দেখছে ওমর ফারুক (টুটুল)। তিনি বলেন, আমি পরীক্ষামূলক ভাবে সূর্যমুখী চাষ করেছি। আমার জমিতে প্রতিদিন সেলফি তুলতে হাজারো মানুষ আসে, আমি কখন কাউকে কিছু বলি নাই, কারা আমার জমির সূর্যমুখী ফুল কেটে নিয়েছে তা ও আমি জানি না। তবে বিষয়টি বড়ই দুঃখজনক।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।