August 24, 2025, 3:41 pm
সর্বশেষ:
স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা মহাসড়কে অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন: দুর্ঘটনার বড় কারণ জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার হুকুমমতো কাজ করাতে চাইলে চেয়ারে থাকব না : সিইসি কুমিল্লার আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গ্যাজেট নিয়ে গণশুনানি: উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান মাওয়া পদ্মার পারে যুবদল–ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ইলিশ ভোজ স্থানীয় স্বঘোষিত ন্যায়পাল ও সমাজে বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতার অভাব মেঘনা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাত-আটজন পালালেও ধরা পড়লো এক চাঁদাবাজ তৃণমূলের নেতৃত্বে স্থবিরতা: গণতন্ত্র ও নতুন নেতৃত্ব তৈরির সংকট

২০ হাজার জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়না

১৬ এপ্রিল ২০২১,বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম  এইচ বিপ্লব সিকদার :  মেঘনা কাঠালিয়া নদীবেষ্টিত ঢাকার খুব কাছাকাছি কুমিল্লার শেষ পশ্চিমাঞ্চল  কৃষি প্রধান এলাকা নিম্নাঞ্চল খ্যাত মেঘনা উপজেলা। বর্তমানে ৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলা। লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর বসবাস। ঢাকার সন্নিকটে ও নদী, সড়ক পথে যাতায়াতের সু ব্যবস্থার ফলে দেশের খ্যাতনামা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেন। খুব বেশি দিন নয় শিল্পায়নের ফলে হারিয়ে যাবে কৃষি জমি। অভ্যন্তরীণ রুটের অবস্থা বর্তমানে নাজুক। নতুন রাস্তা তৈরি হয়, পূর্ণ মেরামত করা হয় কিন্তু অপরিকল্পিত। নিম্নাঞ্চল ও মাটিতে বালুর পরিমান বেশি থাকায় কোন রাস্তাই টেকসই হয়না। পরিকল্পিত ভাবে ধাপে ধাপে মাটি চাপিয়ে গাইড ওয়াল করে রাস্তা নির্মাণে টেকসই হতে পারে অভ্যন্তরীণ রুট। এবার আশা যাক মুল বিষয়ে  সেননগর বাজার – খিরাচক বাজার – কদমতলা ষ্ট্যান্ড। এই রুট দুটি ইউনিয়ন এর জনগোষ্ঠীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুট। ২০ হাজার লোকের বেশি যাতায়াত। উপজেলার গোবিন্দপুর ও ভাওরখোলা ইউনিয়ন আংশিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিয়ত প্রয়োজনের তাগিদে এ রুটে যাতায়াত করে। উপজেলার সদর কেন্দ্রীক হওয়া সত্বেও কর্তৃপক্ষের নজর সব সময় এড়িয়ে যায় অদৃশ্য কারণে। এই রুটে দুটি ব্রিজ আছে একটি খিরাচক বাজার  অন্যটি মির্জানগর এর সন্নিকটে। যদিও সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান মৌখিক এই প্রতিবেদককে মির্জানগর ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। কিন্তু খিরাচক বাজার ব্রিজের রয়েছে চমকপ্রদ ইতিহাস। যতটুকু ঝুঁকি যুক্ত ঝুলন্ত ব্রিজ এই টুকুই খাল যেখানে সাকু দেখছেন সেটা ছিলো এই ব্রিজের এপ্রোচ সড়ক । বালুবাহী বাল্কহেড সহ মালবাহী ট্রলার যাতায়াতের জন্য সড়কটি কেটে গভীর খাল বানানো হয় শুধু তাই নয় ব্যক্তি মালিকানা কৃষি  জমি ও গভীর খালে পরিনত করা হয়। ফলে ব্রিজটির কাজের কথা যখন উঠে তখনই এত বড় দৈর্ঘ্য ব্রিজ করতে বা পাস হতে সময়ের প্রয়োজন এই অজুহাতে সংশ্লিষ্ট অনেকেই পার পেয়ে যান। এই বর্ষায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র । ব্যক্তি মালিকানা জমির মালিক তার জমিতে বালু ভরাট করে ফেলায় প্রকৃত খাল ঝুলন্ত ব্রিজ টা দৃশ্যমান হয়। সাকো যেখানে সড়ক সেখানে এখন শুধু এই ব্রিজটি করে এপ্রোচ সড়ক করে দিলেই উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের মাইলফলক হবে। সেননগর বাজার, খিরার চক বাজার, কদমতলা বাস স্টেশন, দৌলত হোসেন সরকারি হাইস্কুল সহ ভুমি অফিস সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে প্রায় ২০ হাজার জনগোষ্ঠীকে এই রুট ব্যবহার করতে হয়। অন্যথায় প্রতিজনকে ১০০ টাকার বেশি বাড়া, সময় অপচয় করে ৭ কি মি রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। কয়েক মাস পর পর একাধিক বার পত্রিকায় লেখালেখি করলেও কোন লাভ হয়না।ঝুঁকি পূর্ণ এই ব্রিজ দুটি দেখলে যে আতকে উঠবে। ডিজিটাল ও উন্নয়নের জোয়ারের যে শ্লোগান সরকার দিচ্ছে এই ব্রিজের দিকে তাকালে সব ম্লান হয়ে যায়। উপজেলা চেয়ারম্যান, মাননীয় এমপি সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট অবহেলিত জনগোষ্ঠীর আকুতি ব্রিজটি করে যাতায়াতের সু ব্যবস্থা ও জীবন যাত্রার মান উন্নত করতে সু নজর কামনা। অন্যথায় হাজার কোটি টাকার কাজ করলেও কোন লাভ হবেনা কারন উপজেলা সদরে এত বড় জনগোষ্ঠী সহজলভ্য ব্রিজের অভাবে এত দূর্গতির সম্মুখীন করে কখনো দৃশ্যমান উন্নয়ন এর শ্লোগান সম্ভব নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা