৩০ এপ্রিল ২০২১,বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম এইচ বিপ্লব সিকদার : মেঘনা – কাঠালিয়া নদীবেষ্টিত ঢাকা থেকে মাত্র ৪০ কিমি পথ কুমিল্লার শেষ পশ্চিমাঞ্চল মুন্সিগঞ্জ, নাঃ গঞ্জ কুমিল্লা তিন জেলার সীমান্তকে আগলে রেখেছেন মেঘনা নদী। লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর বসবাস ৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে নিম্নাঞ্চল খ্যাত মেঘনা উপজেলা গঠিত। গুলিস্তান থেকে বাসে গেইট লক সার্ভিস গণপরিবহনে স্থল পথের যাতায়াত। জল পথের কোন জুড়ি নেই। পুরো উপজেলাটিই একটি পর্যটন কেন্দ্র মনে হয়। গোলাকৃতি ও নদীবেষ্টিত হওয়ার ফলে প্রকৃতির প্রায় সকল পরিচিত গাছের দেখা মিলে প্রতিটি গ্রামে ফাঁকা ফাঁকা গ্রাম, লাগোয়া ঘরবাড়ি, সামাজিক মূল্যবোধ, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সম্প্রিতীর প্রতিচ্ছবিও বটে। প্রতিবেদক বৃহস্পতিবার নিজ গ্রাম দড়িকান্দিতে যান কাছাকাছি উপজেলা হওয়ার ফলে প্রায়ই যাওয়া হয় গতকাল ও যাওয়া হয় এবার ব্যাতিক্রম কিছু উপভোগ হলো তাই সেয়ার করার চেষ্টা করছি। ইফতার করলাম সৈশবে বেড়ে বাড়ির পাশে সেননগর বাজারে। ইফতার পর বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেমন তেমন আস্তে আস্তে অন্দকার নেমে আসছে আমি ঢাকায় ফিরবো একদিকে লকডাউন অন্যদিকে রাত হয়ে গেছে তাই সহপাঠীদের অনেকে নিষেধ করছে না আসার জন্য কি করা বাসায় কাজ আসতেই হবে তখন সাত্তার ভাই, মোস্তফা কাকা বলে উঠলো চলো আজ নতুন পথে তোমাকে মহাসড়কে উঠিয়ে দেব এবং চমক দেখাবো। অটোবাইকে উঠে গেলাম ওয়াল্টন মোড়ে নেমে চিরচেনা স্কুলে যাবার পথ দিয়ে হাটতে লাগলাম একটু এগিয়ে অবাক হলাম রামনগর গ্রামের দক্ষিণ পারার খালের উপর বিশাল ব্রিজ ও রাস্তা সোজা ১০ মিনিট হাটলেই আঞ্চলিক সড়কের ৮০ মিটার ব্রিজ। আমি হতবাক হলাম। যাই হোক ব্রিজ পার হয়ে দেখি দুটি ঘর একটি বিশাল চায়ের দোকান সাত্তার ভাই বললো এটা নিউ টাউন এই ব্রিজ হওয়ার পর এখানে মানুষের দিনে রাতে সমাগম ঘটে। সন্ধ্যায় খোলা বাতাস মন জুড়ে যায় তাই ঘুমানোর পূর্বে আশপাশের লোকজন এই নিউটাউন এ চা চক্র ও খোশগল্প টা শেরে ফেল। আমি হতবাক হয়ে উনার কথা শুনেছি আর নজর গেলো চায়ের দোকানের ভিতরে বড় পর্দায় টিভি চলছে এটাও বিচিত্র মনে হলো সবাই রুপালি পর্দায় সিনেমা দেখছেন। বিনোদিত হচ্ছে সকলে আমি ও হলাম। হাতে সময় সল্পতায় চলে এলাম। নিউটাউন থেকে ঢাকায় আসতে আমার সময় লেগেছে ৪৫ মিনিট। ঢাকা থেকে আঞ্চলিক সড়কের উপজেলা যাওয়ার আগেই দৌলত হোসেন হাই স্কুলে গিয়ে ৮০ মিটার ব্রিজ সংলগ্ন থেকে রাস্তাটি শুরু হয়। রাস্তার দুই পাশেই সকল সুবিধা সম্বলিত হাউজিং সোসাইটি হতে পারে। সেই চিন্তা থেকেই এর নামকরণ করা হয় নিউটাউন। দুটি টিনের ঘর দিয়ে শুরু হওয়া নিউটাউন টি উপজেলা হেডকোয়ার্টার, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ অফিস, পাশেআঞ্চলিক মহাসড়ক, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহ নাগরিক সুবিধা সম্বলিত এলাকা। সরেজমিনে গিয়ে না দেখলে বিশ্বাস করাই মুশকিল এই টাউনকে ঘিরে সরকারি খাল থাকায় পরিকল্পিত শহরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য লেক করা যেতে পারে যে লেকের সংযোগ সরাসরি নদীর সাথে। পরিকল্পিত নগরায়নের উপযুক্ত স্থান। যে কোন কোম্পানি হাউজিং বা এপার্টমেন্ট এর জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন। গুলিস্তান থেকে মেঘনা গণপরিবহন, অথবা নিজস্ব ট্রান্সপোর্ট থাকলে ভাটের চর নতুন রাস্তা থেকে মাত্র ৮ কিমি ৮০ মিটার ব্রিজ এর উত্তর ও দক্ষিণ পারে হতে পারে আবাসিক সিটি। এবার আসি নিউটানের বর্তমান অবস্থান রাতের বেলা রাস্তায় রিকশা দাঁড়ানো, চায়ের দোকানে বিশাল পর্দায় চা চক্র করছেন আর সিনেমা দেখছেন অনেক লোক আমিও সাত্তার ভাই মোস্তফা কাকা চা চক্রে বসলাম সেই চা খোলা বাতাস ব্যপসা গড়মের মধ্যে খুব উপভোগ করলাম, হাতে সময় না থাকায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছি নচেৎ থেকেই যেতাম বহুক্ষণ চা চক্র ও খোশগল্প, আড্ডার ভিড়ে নিমজ্জিত হতাম। বেচে থাকলে আবার আসবো সেই নিউটাউনে। পাঠক আপনারা ও ইচ্ছে করলে দেখে আসতে পারেন কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার নিউটাউন এলাকাটি, হাউজিং ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন অনায়েসে। জমির দাম ও তেমন না রয়েছে হাতের নাগালে। তবে দু এক বছর পর বিনিয়োগ এর ৫ গুন হয়ে যাবে এটা নিশ্চিত।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।