June 30, 2025, 6:39 pm
সর্বশেষ:
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত: কিডনি দিচ্ছেন জীবনসঙ্গিনী এক ব্যক্তির বারো হাত : সবগুলোই গিরগিটির মতো সমাজে বিচরণ আনারপুর বাস স্ট্যান্ড টার্নিং পয়েন্টে প্রতিদিন দুর্ঘটনা, প্রতিকারে নেই কার্যকর পদক্ষেপ একজন উপদেষ্টার আশকারা পাচ্ছে মুরাদনগরের দুষ্কৃতকারীরা: মির্জা ফখরুল হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার ও মামলা এড়াতে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক পরকীয়া একটি সামাজিক বিপর্যয়, নিপীড়নের শিকার নারী চোরের মা’র বড় গলায় যে ক্ষতি হয় সমাজের মার্চ টু এনবিআর স্থগিত, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আন্দোলনকারীরা ৮ আগস্ট কোনো দিবস পালিত হচ্ছে না, ৫ আগস্ট পালিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান’ দিবস

ঘুমন্ত বাবাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে

১৫ জুন ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় কুড়াল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় মঙ্গলবার তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটি।

নিহতের নাম মোংলা কুজুর। এই ঘটনায় ঘাতক জীবন কুজুরকে গ্রেপ্তার করেছে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার বাবাকে হত্যার দায়ে সন্তানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুজ্জামান।

তিনি জানান, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের রামেশ্বরপাড়া গ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় মোংলা কুজুরকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তার ছেলে জীবন কুজুর। ঘটনার দিন দুপুরে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন মোংলা কুজুর। এ সময় তার ছেলে জীবন কুজুর ঘরে ঢুকে তার বাবার মাথায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যার পর পালিয়ে যায়। এতে মাথার মগজ বের হয়ে ঘটনাস্থলেই মোংলা কুজুর মারা যান।

ওই ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই আতুল কুজুর মাস্টার বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এএসপি কামরুজ্জামান আরো জানান, ঘটনার পর থেকে জীবন কুজুর পালিয়ে যায়। পরে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে সোমবার মধ্যরাতে শঠিবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে হত্যা কাজে ব্যবহৃত কুড়ালটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জীবন জানিয়েছে, সে ইটভাটায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করত। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তার দুটি বাচ্চা আছে। তার মা ৫-৬ বছর আগে মারা গেছে। বাবা, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার। একটা সময়ে মানসিকভাবে অসুস্থ থাকলেও বর্তমানে সে সুস্থ। কিন্তু হঠাৎ তার বাবার ঘরে ঢুকে সে কুড়াল দিয়ে তার বাবার মাথায় কোপ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে এবং সে একাই উক্ত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানায়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা