২২ জুন ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের। বিবাহ সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার জন্য এবার তার সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানালেন বিজেপি সাংসদ সংঘমিত্রা মৌর্য।
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়ে সংঘমিত্রা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এথিকস কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সংঘমিত্রার মতে, নুসরাত যা করেছেন তা এক কথায় অনৈতিক ও বেআইনি। এই কারণে তার সাংসদ পদ খারিজ হওয়া দরকার।
মৌর্য নুসরাতের সাংসদ পদ নন-এস্ট বলে ব্যাখ্যা করছেন। নন এস্ট এই আইনি পরিভাষাটি বোঝায় চুক্তিলঙ্ঘনকারী কোনো পদক্ষেপ। গত ১৯ জুন স্পিকারকে চিঠি দেন সংঘমিত্রা মৌর্য। চিঠির সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন নুসরাতের শপথের প্রতিলিপিও যেখানে স্পষ্টভাবেই বলা রয়েছে তার স্বামীর নাম নিখিল জৈন।
সংঘমিত্রা চিঠিতে লিখেছেন গণমাধ্যমে নুসরাত নিজের বৈবাহিক সম্পর্ক বিষয়ে যা বলেছেন তা লোকসভায় শপথ নেওয়ার সময় তিনি যে তথ্য দিয়েছিলেন তার ঠিক উল্টো। এক্ষেত্রে তার সদস্যপদটি আইনের চোখে খারিজযোগ্য।
সংঘমিত্রা মনে করিয়েছেন ২০১৯ সালের ২৫ জুন নুসরাত জাহান শপথ নেওয়ার সময়ে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন নুসরাত জাহান রুহি জইন। নববধূর বেশেই তিনি হাজির হয়েছিলেন সংসদে। এমনকি সেই সময় সিঁদুর পরার কারণে তাকে একদল মৌলবাদী আক্রমণ করেছিল বলেও মনে করিয়েছেন সংঘমিত্রা। তার কথায়, সে সময়ে সব দলের সাংসদরা নুসরাতের পাশে ছিলো।
এখানেই শেষ নয়, সংঘমিত্রা মনে করাচ্ছেন, নুসরাতের বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন। পরে এএনআইকে তিনি আরো বলেন, কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নাক গলানো উচিত নয়। কিন্তু তিনি সম্প্রতি মিডিয়ায় যা বলেছেন তার অর্থ এই যে সংসদে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। এখন লোকসভায় বেআইনি এক্তিয়ার বা মিথ্যে কথা বললে আসলে সংসদ এবং তার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি করে। সেই কারণেই তার এই পদক্ষেপ বলে জানাচ্ছেন সংঘমিত্রা।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।