২২ জুন ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা! বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালু হলে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতায় পৌঁছানো যাবে। যেখানে এখন ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে সরাসরি ঢাকা থেকে কলকাতায় গেলেও অন্তত ১০ ঘণ্টা প্রয়োজন হয়। ২০২৪ সালের পদ্মা নদীর ওপর রেলসেতু চালু হলে ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার সময় দুই-তৃতীয়াংশ কমে আসবে।
এছাড়া, কলকাতা থেকে আগরতলা রেলপথে যেতে সময় লাগে ৩০ ঘণ্টা। সেই সময়ও কমে আসতে পারে ছয় ঘণ্টায়। পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে এ রুটেও রেল পরিষেবা চালু হতে পারে।
জানা গেছে, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে কলকাতা স্টেশন থেকে বনগাঁ জংশন হয়ে হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে বেনাপোল হয়ে যশোর, নড়াইল, ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পৌঁছতে পারবে ট্রেনটি। এ রুটের দূরত্ব দাঁড়াবে প্রায় ২৫১ কিলোমিটার। যা পার করতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের গতিতে সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শাহাদাত আলী সরদার বলেন, কোভিডের কারণে ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধ আছে। সড়ক পথে ভ্রমণে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা। তবে পদ্মা রেল সেতু চালু হলে বড়জোর সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগবে। এছাড়া, পদ্মার তীরে ফেরির জন্য অপেক্ষাও করতে হবে না।
তবে সেতুর ওপর দিয়ে পুরোপুরি রেলসংযোগ পেতে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবেও বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, ২০২৪ সালের মার্চে পদ্মা নদীর ওপর রেলসেতু চালু হলেই মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়া লাগবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৪১ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের মধ্যে রেলপথের ঢাকা-মাওয়া ও ভাঙ্গা-যশোর অংশের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাওয়া, ভাঙ্গা, শিবচর ও জাজিরায় রেলস্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। ভাঙ্গায় রেল জংশন হবে। এটিকে একটি আইকনিক স্টেশনে পরিণত করা হবে।
রেলপথমন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতুতে সড়ক ও রেলপথ যুক্ত আছে। রেলের অংশটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত। এ প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরা আছে। আগামী বছর যখন পদ্মা সেতু চালু হবে, একই দিন সেতুর ওপর দিয়ে মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।