June 30, 2025, 10:16 pm
সর্বশেষ:
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত: কিডনি দিচ্ছেন জীবনসঙ্গিনী এক ব্যক্তির বারো হাত : সবগুলোই গিরগিটির মতো সমাজে বিচরণ আনারপুর বাস স্ট্যান্ড টার্নিং পয়েন্টে প্রতিদিন দুর্ঘটনা, প্রতিকারে নেই কার্যকর পদক্ষেপ একজন উপদেষ্টার আশকারা পাচ্ছে মুরাদনগরের দুষ্কৃতকারীরা: মির্জা ফখরুল হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার ও মামলা এড়াতে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক পরকীয়া একটি সামাজিক বিপর্যয়, নিপীড়নের শিকার নারী চোরের মা’র বড় গলায় যে ক্ষতি হয় সমাজের মার্চ টু এনবিআর স্থগিত, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আন্দোলনকারীরা ৮ আগস্ট কোনো দিবস পালিত হচ্ছে না, ৫ আগস্ট পালিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান’ দিবস

রাজধানীতে হচ্ছে ৫ ফিল্ড হাসপাতাল

০৯ জুলাই ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার বিপজ্জনক রূপ নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীতে পাঁচটি ফিল্ড হাসপাতাল করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘করোনাআক্রান্ত রোগীর সেবা নিশ্চিতে আমরা সরকারির পাশাপাশি বেসরকার পর্যায়ে অনেক শয্যা বৃদ্ধি করেছি। ঢাকার বেসরকারি ১০টি হাসপাতালে ১ হাজার ৫০১ শয্যা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকার ডিএসসিসি মার্কেটে সবচেয়ে বড় করোনা হাসপতাল তৈরি করা হয়েছে। এখানে আইসিইউ ১২০০ শয্যা রাখা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল আমরা বড় আকারে শুরু করব। শুরু হলেই আপনার দেখতে পারবেন। আশা করি স্বল্প সময়ে মধ্যে এই হাসপাতালগুলো চালু হবে।’

করোনার প্রথম ঢেউয়ে সিংহভাগ রোগী ছিল ঢাকায়। মৃত্যুরও বেশিরভাগই হয়েছে রাজধানীতে। সে সময় একটি ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পর রোগীর ৫০ শতাংশ এখন গ্রাম এলাকায়। আর মৃত্যুও হচ্ছে রাজধানীর বাইরে বেশি। মফস্বলের হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঠাঁই না পাওয়ার তথ্যও আসছে গণমাধ্যমে।

এই পরিস্থিতিতে বাইরে না করে ঢাকায় ফিল্ড হাসপাতাল কেন ঢাকায় হচ্ছে- এমন প্রশ্ন ছিল সচিবের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের ঢাকাতে এই হাসপাতালে কোনো প্রয়োজন নেই। মানুসিকভাবে রেডি থাকি।’

বিশিষ্ট রোগতত্ত্ববিদ এবং আইইডিসিআরের (রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান হারে দেশে করোনা রোগী বাড়ছে। এই বিপুলসংখ্যক রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে কমপক্ষে এক হাজার শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন জরুরি। সেখানে রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাবেন এবং আইসোলেশনের ব্যবস্থাও থাকবে। তবে ফিল্ড হাসপাতালে অবশ্যই অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এই হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে জনবহুল এলাকায়। যাতে বিপুলসংখ্যক রোগী সেখানে আসতে পারেন। মুমূর্ষু রোগীদের সেখান থেকে হাসপাতালে পাঠানো যেতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের আগে বেশকিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ গত বছর সংক্রমণের সময় সরকার মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে ফিল্ড হাসপাতাল করেছিল; কিন্তু সেটি এমন স্থানে করা হয়েছিল, যেটি ছিল শহরের অধিকাংশ আবাসিক এলাকা থেকে অনেক দূরে। ফলে সেটি তেমন কাজে আসেনি। শুধু অর্থের অপচয় হয়েছে।’

এর আগে গত বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, সেই হাসপাতালগুলোতে কীভাবে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো যায়, জনবল কীভাবে পুনঃবণ্টন করা যায়, আমরা সেদিকে মনোযোগ দিয়েছি। এর বাইরে ফিল্ড হাসপাতাল করা যায় কি না, সে বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। প্রয়োজন হলে ফিল্ড হাসপাতাল করব।’


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা