১৪ এপ্রিল ২০২২,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,ডেস্ক রিপোর্ট :নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে শেষ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে চারুকলা অনুষদের শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন মুখোশ, প্রতীক, চিত্র, মূর্তি কাঠামো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। টিএসসি থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন এলাকা ঘুরে আবার টিএসসি এসে শেষ হয়।
এ সময় র্যাব, সোয়াট ও পুলিশ সদস্যরা তিন স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে এ মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাবির উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া শোভাযাত্রায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রার শুরুতে ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘দীর্ঘ দুই বছর পর পয়লা বৈশাখ ১৪২৯ এ অনুষ্ঠান তার প্রাণচাঞ্চল্য, উৎসব ও আমেজের চিরাচরিত ছোঁয়া ফিরে পেয়েছে বলে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব। এটি একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত উৎসব। এটি সকল জনগোষ্ঠী, সম্প্রদায় ও ধর্মের মানুষের একটি প্রাণের জায়গা, সাধনার জায়গা, সম্পৃক্ততার জায়গা। ধর্ম যার যার সেটি থাকবে, কিন্তু উৎসব ও আমেজ সকলের। মানুষের মধ্যে ধর্মের সম্প্রীতি, মানবিক বন্ধন সুদৃঢ় হোক সেই প্রত্যাশা করি।’
কে এম খালিদ দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারির কারণে আমরা দুই বছর আমাদের উৎসবটি করতে পারিনি। ২ বছর পর আমরা আবার আমাদের প্রাণের মেলা, হৃদয়ের উৎসবে হাজির হয়েছি। দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান যে শত্রুর বিরুদ্ধে আমরা লড়ছি, সেই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য এই পয়লা বৈশাখ দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমরা মনে করি, আমাদের এই ঐতিহ্যময়ী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা জঙ্গিবাদ ও অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।’
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।