বিপ্লব সিকদার :
হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হারুন অর রশিদ নামের ব্যক্তির এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে মায়া খাতুন নামের ব্যক্তির পাসপোর্ট তৈরি করার অভিযোগ ও ভোলা,জেলার চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স, সেবকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক)।
আজ মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ ও বরিশাল জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্স মেন্ট টিম পৃথক অভিযানে এ সত্যতা পায়। এছাড়া ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের( দুদক) জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সূত্র জানায় হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হারুন অর রশিদ নামীয় ব্যক্তির এনআইডি নম্বর ব্যবহার করে মায়া খাতুন নামীয় ব্যক্তির পাসপোর্ট তৈরি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ দুর্নীতি দমন কমিশন, সজেকা, হবিগঞ্জ থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। উল্লেখ্য যে, মায়া খাতুন হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নালিশি মামলার আসামী হয়ে জেলহাজতে আছেন। এসময় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বর্তমান সহকারী পরিচালক জানান যে, সেবা গ্রহীতা কর্তৃক ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে এমনটি ঘটে থাকতে পারে। অভিযানকালে টিম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, হবিগঞ্জ থেকে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে। অপরদিকে
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চরফ্যাশন, ভোলা-এর ডাক্তার, নার্স এবং সেবকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সজেকা, বরিশাল হতে আরও একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চরফ্যাশন, ভোলায় কর্মরত ডাক্তার, নার্স, সেবকদের কর্মস্থলে সময়মতো অনুপস্থিত পাওয়া যায়, বর্হিবিভাগে টিকেট বিক্রয়ে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ এবং অফিস চলাকালীন ডাক্তাদের কর্মস্থলের পরিবর্তে ডায়গনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট প্রাকটিস সহ নানা অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।