July 7, 2025, 10:57 am
সর্বশেষ:
জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি মেঘনায় পতিত সরকারের পরেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় সামাজিক বিপর্যয় বেড়েই চলছে আন্দোলনের আগুনে গড়া এক ছাত্রনেতা নাজমুল হাসান মেঘনায় নব্য মাদক সম্রাট : শেল্টারে মুখোশধারী নৌকার পক্ষে প্রচারণায় বিএনপি নেতার ভিডিও ভাইরাল : বিব্রত মেঘনা বিএনপি জুলাইয়ে গণতন্ত্রের ডাক, এখন কেন ‘মার্কা’ তান্ত্রিক পদ্ধতির খোঁজ? মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া পরিচয়ে চাকরি? আইনের পথেই হোক সমাধান সন্ধিক্ষণে মেঘনা উপজেলার রাজনীতি — সংকট, সম্ভাবনা ও আগামী পথচলা বুদ্ধিবৃত্তিক ও সংস্কৃতির আন্দোলন ছাড়া সমাজের বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব নয়

আপন জুয়েলার্সের দুই মালিকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দুদকের

বিপ্লব সিকদার :

৭৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের দুই মালিক দিলদার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সচিব মাহবুব হোসেন।

 

দুদক সচিব জানান, তাদের দুজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ মিলেছে। যে কারণে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় মামলা রুজুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আপন জুয়েলার্সের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করেন দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনি। তবে তার অসুস্থতার কারণে মামলাটি অন্য কর্মকর্তা শিগগিরই সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়ে দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, দিলদার আহমেদ ২০১৮ সালের ২ জুলাই দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। ওই বিবরণী যাচাইকালে ৮৯ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। তবে এসবের মধ্যে দিলদার আহমেদ ৬৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ গোপন করেন।

অপরদিকে আপন জুয়েলার্সের এই মালিকের সম্পদ অনুসন্ধানকালে, স্থাবর-অস্থাবর ও আয়-ব্যয় বাদ দিয়ে ৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪০২ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া যায়।

সম্পদের তথ্য গোপন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলার অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।

একই মামলায় আসামি করা হবে আপন জুয়েলার্সের আরেক মালিক ও দিলদারের ভাই আজাদ আহমেদকে।

তিনিও ২০১৮ সালের ২ জুলাই সম্পদ বিবরণী জমা দেন দুদককে। সংস্থাটির যাচাই বাছাইকালে দেখা যায় ৪১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ১৫১ টাকার সম্পদের মধ্যে ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৮২ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধ।

আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও তা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা