বিপ্লব সিকদার :
বিস্ফোরক পরিদপ্তরে কেমিক্যাল আমদানির অনাপত্তিপত্র, পেট্রোলিয়াম লাইসেন্সের নকশা, পাইপ লাইনের অনুমোদন ও সিলিন্ডার আমদানির লাইসেন্স পেতে হয় ঘুষ লেনদেন এমন অভিযোগে ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
এছাড়া সাতক্ষীরা মনিপুর ডিবি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্টের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদানে তার নিকট ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় ও খুলনা অফিস থেকে পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিন অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ৯টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিস্ফোরক পরিদপ্তরের ঢাকার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কেমিক্যাল আমদানির অনাপত্তিপত্র, পেট্রোলিয়াম লাইসেন্সের নকশা অনুমোদন, পাইপ লাইনের অনুমোদন ও সিলিন্ডার আমদানির লাইসেন্স মঞ্জুরের জন্য ঘুষ দাবির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদক আরও জানায়, অভিযান পরিচালনাকালে টিম ছদ্মবেশে অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। ছদ্মবেশে বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকালীন সংশ্লিষ্ট অফিসে টিম দালালের উপস্থিতি পায়। টিম আগত সেবা প্রার্থীদের সাথে অফিসের বিভিন্ন ধরনের সেবা নিয়ে কথা বলে এবং সেবা প্রার্থীরা গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ করেন। পরে টিম অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের উপ প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শকের সঙ্গে সেবা প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে। অভিযানকালে টিম গ্রাহক হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়।
এছাড়া সাতক্ষীরা মনিপুর ডিবি দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেনডেন্টের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদানে তার নিকট ঘুষ দাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে খুলনা অফিস থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম অভিযোগের ব্যাপারে উক্ত মাদ্রাসার সুপার ও নিয়োগ বোর্ডের শিক্ষক প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।