এম এইচ বিপ্লব সিকদার।।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৮টি অভিযোগের বিষয়ে ২টিতে অভিযান ও ৬ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ইন্টার্নশিপ করতে আসা প্রশিক্ষণার্থীদের থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে টাকা আদায়, সার্জারী ফি -এর অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ, নার্সদের কাছ থেকে দৈনিক টাকা আদায়সহ বহি:বিভাগে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা হতে জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটোর) -এ একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। টিম প্রথমে ছদ্মবেশে রোগী এবং স্টাফদের সাথে কথা বলে। পরবর্তীতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম পরিচালকসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এবং রেকর্ডপত্র যাচাই করে ইন্টার্নশিপে আগত প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। তবে সে টাকা প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কাজেই ব্যয় করা হয় এবং এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়টি চলমান রয়েছে মর্মে টিমকে জানানো হয়। তবে ছদ্মবেশে রোগীদের সাথে কথা বলে এবং ভাউচার চেক করে সার্জারির জন্য অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সিলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগ বিষয়ে দুদক জেলা কার্যালয়, সিলেট হতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম সেবা গ্রহিতাদের সাথে কথা বলে অভিযোগ পায় যে, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, সিলেটে যে সকল সেবাগ্রহিতা নিজে ফরম পুরন করে জমা প্রদান করেন তাদের আবেদন নানা কারণে ত্রুটি-বিচ্যুতির অজুহাত দেখিয়ে ফেরত প্রদান করা হয়। ফলে সেবা গ্রহিতাগণ কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে ট্রাভেল এজেন্সির শরনাপন্ন হন। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে পুরনকৃত আবেদনে বিশেষ চিহ্ন দেয়া থাকে বিধায় তাদের কোন প্রকার হয়রানীর শিকার হতে হয় না মর্মে অভিযানকালে টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।