February 8, 2025, 11:15 pm
সর্বশেষ:
কুমিল্লায় স্বর্ণের দোকানের ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ১, আটক ১ কুমিল্লায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আপন দুই ভাই গ্রেপ্তার অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে: ভিপি নূর ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে থেকেও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়: ড. খন্দকার মোশাররফ কুমিল্লার এসপির কক্ষে সেলফি তুলে ভাইরাল হওয়া হত্যা মামলার আসামী যুবদল নেতা গ্রেপ্তার হোমনা উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান রংপুরে আটক মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে হবে : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া কুমিল্লায় চোর ধরতে গিয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু টুঙ্গিপাড়ায় সড়কের কাজে ফসলি জমি কেটে বালু ভরাট করায় কৃষি জমির ক্ষতির সত্যতা পেয়েছে দুদক

ক্ষমতার অপব্যবহারে আর্থিক ক্ষতি, কাস্টমস কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা

 

বিপ্লব সিকদার।।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তিনি গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেডকে ওই সুবিধা দিয়েছিলেন।কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১জুন) সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা, উপ পরিচালক মোঃ আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন। সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।

এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা