বিপ্লব সিকদার।।
মেঘনা – কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা। সিলেটের সুরমা নদীর পানি মেঘনা নদীতে নেমে আসায় মেঘনা ও কাঠালিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার অভ্যন্তরে নদ – খাল দিয়ে ফসলের মাঠে দ্রুত পানি বাড়ছে। ফলে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে নদী তীর ঘেঁষে গ্রাম গুলো ভাঙ্গনের কবলে পরছে। চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর, রামপ্রসাদের চর, সহ নদী তীরবর্তী এলাকা গুলো তীব্র স্রোতের কবলে বসত ভিটা ভাঙতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই কোন না কোন বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। দিন দিন সুরমা নদীর পানির প্রবল স্রোত এসে মেঘনা নদীতে নেমে আসছে। আজ সোমবার মেঘনা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, উপজেলা কর্মকর্তা(পি আই ও) সেলিম খান স্পিড বোট নিয়ে নলচর সহ নদী তীর ঘেঁষে গ্রাম গুলো পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়ে এসেছেন। এবং তীর ঘেঁষে ঘর গুলো অন্যত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। উপজেলার মধ্যাঞ্চলীয় এলাকায় যদিও এখনো তেমন কোন পানির চাপ দেখা যাচ্ছেনা তবে এভাবে পানি বাড়তে থাকলে সপ্তাহের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে কৃষকরা বলছেন বন্যা হলে কৃষির ব্যপক ক্ষতি হবে। যা পুষিয়ে উঠা কষ্টকর। সচেতন মহল বলছেন যেহেতু সিলেট,সুনামগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা হচ্ছে। সেই পানি মেঘনা নদী দিয়ে নেমে আসবে ফলে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। আগে থেকেই দায়িত্বশীলদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।