• বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
তিতাসে ট্রলি উলটে নদীতে তিন নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঢাকা জেলার ডিবির অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ চার সন্ত্রাসী গ্রেফতার স্বেচ্ছাচারী নয়, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলদের গুরুত্ব দিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ: আপিল বিভাগ মেঘনায় লাইসেন্সবিহীন জ্বালানি বিক্রি: নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ছে, প্রশাসনের উদ্যোগ জরুরি এভারকেয়ারে হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, বিভ্রান্তি এড়াতে আহ্বান মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের মেধাবী সাইমন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগদান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতাই মেঘনাবাসীর জীবনযাপনে বিপর্যয় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাজ্যের মেডিকেল টিম এভারকেয়ারে যোগ দিল হোমনায় এসিল্যান্ডের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ঠুঁটো জগন্নাথই থাকবে?

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৮৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

বিপ্লব সিকদার।।

আমাদের দেশে একটি প্রবাদ আছে “ঢাল নেই তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার” ঢাল তরোয়াল ছাড়া সে এমনিতেই কিছু পারবে না শুধু মুখে মুখে আলাপ করা ছাড়া। তাই আমরা যখন আমাদের ক্ষমতার থেকে বেশি কিছু বলে ফেলি বা করতে চাই তখন অন্যেরা আমাদের নিজ ক্ষমতা বা সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য এই প্রবাদটি বলে থাকে। চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়িটির প্রায় এমনই অবস্থা। কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার রামপুর বাজারে এ ফাঁড়ির দপ্তরটি অবস্থিত। ফাঁড়িটির কর্মক্ষেত্র সারা কুমিল্লা জেলা জুড়ে। এ জেলার নদী গুলোর মধ্যে অন্যতম, মেঘনা, কাঠালিয়া, গোমতী, তিতাস সহ আরও অনেক। নদীকে সুরক্ষা দিতে যে পরিমাণ জনবল দরকার, তেমন জনবল নেই। মেঘনা, কাঠালিয়া নদী সম্পূর্ণ অরক্ষিত। এ নদীতে অবৈধ ঝোপ, কারেন্ট জাল, ম্যাজিক জাল, সহ নৌ রুটে বহুবিধ অপরাধ সংগঠিত হয়ে। মুরাদনগরের রামচন্দ্র পুর হয়ে দিনে রাতে মাদক সহ অবৈধ মালামাল বিভিন্ন কায়দায় পাচার হয়। খুব বেশি চাপে পড়লে যা আছে তা নিয়েই বিগত দিনে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। যা সচেতন মহলের দৃষ্টিতে লোক দেখানো অভিযান বলেই চিহ্নিত। নদীর শৃংখলা বজায় রাখা এই ফাঁড়ির পক্ষে কখনো সম্ভব না। কারন ফাঁড়িটিতে নেই নিজস্ব যানবাহন,পর্যাপ্ত জনবল, স্বাস্থ্য সম্মত অফিস,। ট্রলার ভাড়া করে অভিযান পরিচালনা করে নৌপথের শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভাবনা খুব কম। ফাঁড়িটিকে কার্যকর করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্পীডবোট,বাড়াতে হবে জনবল, এবং দপ্তরের পরিবেশ হতে হবে স্বাস্থ্য সম্মত। এ বিষয় গুলো উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় একাধিকবার উত্থাপিত হলেও কার্যকর হয়নি।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই ফাঁড়িটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বিশেষ করে মেঘনা উপজেলাটি মেঘনা – কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত হওয়ায় নদী পাড়ের জনগোষ্ঠীকে চোর, ডাকাত আতংকে দিনাতিপাত করতে হয়। অচিরেই সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করেন দায়িত্বশীল মহল না হয় চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ঠুঁটো জগন্নাথই থাকবে? এমন প্রশ্ন থেকেই যাবে।

লেখক – সাংবাদিক


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন