July 3, 2025, 11:21 pm

দৃষ্টিভঙ্গির দিশা: ভালো-মন্দের সঠিক বিচার

ডেস্ক রিপোর্ট।।

মানুষের মনোজগতে অপরকে জানার, বুঝার এবং মূল্যায়নের একটি স্বাভাবিক প্রবণতা রয়েছে। তবে এই জানার প্রক্রিয়াটি যদি সঠিকভাবে না হয়, তাহলে তা ভুল সিদ্ধান্ত বা বিভ্রান্তিকর মত গঠনের কারণ হতে পারে। তাই কারো সম্পর্কে জানার ইচ্ছা থাকলে প্রথমে তার ভালো দিকগুলো জানা উচিত, তারপর খারাপ দিকগুলো। এই ধারাবাহিকতা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য করে তোলে।

ভালো দিক আগে জানার প্রয়োজনীয়তা

যখন আমরা কোনো মানুষ বা বিষয়ের ইতিবাচক দিক আগে জানি, তখন আমাদের মধ্যে সম্মান, সহমর্মিতা ও ইতিবাচক ধারণা জন্ম নেয়। এতে আমাদের মন খোলা থাকে, গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়। অন্যের গুণাবলি জানলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও উদার মনোভাব তৈরি হয়। এর ফলে বিচার বা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আমরা ব্যক্তিকে ‘একটি পরিপূর্ণ মানুষ’ হিসেবে দেখতে পারি—খণ্ডিত দৃষ্টিতে নয়।

খারাপ দিক জানাও গুরুত্বপূর্ণ, তবে পরে

একজন মানুষ যেমন গুণে গঠিত, তেমনি কিছু সীমাবদ্ধতা বা ভুলও তার জীবনের অংশ। খারাপ দিকগুলো জানা মানে শুধুমাত্র সমালোচনা নয়—বরং সেই দিকগুলো আমাদের বুঝতে সাহায্য করে কেন সে ব্যক্তি এমন আচরণ করছে বা করেছে। এটি আমাদের সতর্ক করে, তবে যদি আগে থেকেই নেতিবাচক দিকগুলো জানি, তাহলে আমরা অবচেতনেই পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়ি।

দৃষ্টিভঙ্গির ভারসাম্যই প্রকৃত বিচার

সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের জন্য ভালো ও খারাপ উভয় দিক জানা প্রয়োজন। কিন্তু এই জানার প্রক্রিয়ায় প্রথমে ভালো দিক জানলে, আমরা কোনো ব্যক্তিকে খাটো করে দেখি না। তার মাঝে সম্ভাবনার চিহ্ন খুঁজে পাই। পরে খারাপ দিক জানলে, তা বিশ্লেষণ করে আমরা বুঝতে পারি যে তার কিছু ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। মানুষমাত্রেই ভুল হতে পারে, তবে তাতে তার গুণ ম্লান হয়ে যায় না। এই ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকৃত মানবিকতা।একটি মানুষকে জানার চেয়ে কঠিন কাজ হলো তাকে বোঝা। বোঝার জন্য প্রয়োজন খোলা মন ও ন্যায্য চিন্তাভাবনা। ভালো দিক আগে জেনে, খারাপ দিক পরে জেনে আমরা যে মানসিক কাঠামো গড়ে তুলি, তা আমাদেরকে বিচক্ষণ, সহনশীল এবং পরিপূর্ণ মানুষ করে তোলে। তাই সিদ্ধান্ত নেবার আগে দৃষ্টিভঙ্গির দিশাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা