July 8, 2025, 1:26 pm
সর্বশেষ:
গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি মেঘনায় পতিত সরকারের পরেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় সামাজিক বিপর্যয় বেড়েই চলছে আন্দোলনের আগুনে গড়া এক ছাত্রনেতা নাজমুল হাসান মেঘনায় নব্য মাদক সম্রাট : শেল্টারে মুখোশধারী নৌকার পক্ষে প্রচারণায় বিএনপি নেতার ভিডিও ভাইরাল : বিব্রত মেঘনা বিএনপি জুলাইয়ে গণতন্ত্রের ডাক, এখন কেন ‘মার্কা’ তান্ত্রিক পদ্ধতির খোঁজ? মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া পরিচয়ে চাকরি?

গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা

বিপ্লব সিকদার।। 

“সাংবাদিকতা হচ্ছে এমন এক পেশা যেখানে সত্য বলা বিপজ্জনক, আর চুপ থাকা বিশ্বাসঘাতকতা।”

আজকের বাস্তবতায় সাংবাদিকতা যেন দ্বিধা ও সংকটে জর্জরিত এক ভূখণ্ড। একদিকে গোপন চাপ, কর্পোরেট মালিকানার নির্দেশনা, রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু; অন্যদিকে বিবেকের তাড়না, জনতার অধিকার রক্ষার দায়িত্ব, আর সত্যের পক্ষে থাকার আত্মমর্যাদা। এই দুই মেরুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন একা, দ্বিধাগ্রস্ত এক সংবাদকর্মী।

সাংবাদিকতা কি শুধুই ক্যারিয়ার?

এক সময় সাংবাদিকতা ছিল প্রতিরোধের হাতিয়ার, অসত্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা। কিন্তু আজ অনেকের কাছে এটি শুধুই একটি ‘ক্যারিয়ার’ বা কর্পোরেট চাকরি। সেখানে নিয়োগ হয় মালিকের অনুগত মুখপাত্রের, ছাঁটাই হয় বিবেকবান কলম যোদ্ধা। ফলে, প্রশ্ন তুলতে ভয়, সত্য প্রকাশে শঙ্কা—সাংবাদিকতা হয়ে পড়ে নীরব, নতজানু।

নতজানুতা: এক আত্মা বিক্রির গল্প

ক্ষমতাবানদের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ‘ভুল’ হয়ে যায় ‘উন্নয়ন’

দুর্নীতির সংবাদ চাপা পড়ে ‘সাফল্য গাথা’র বিজ্ঞাপন চিত্রে

নির্যাতনের খবর হয়ে যায় ‘অপপ্রচার’

নিরপেক্ষ সংবাদকর্মীকে বলা হয় ‘রাষ্ট্রবিরোধী’

এই হলো নতজানু সাংবাদিকতার বাস্তবতা। এটি ব্যক্তি সাংবাদিকের নয়, পুরো পেশার পরাজয়।

সততা: সংকটেও যে জিততে জানে

সাংবাদিকতার মূল শক্তি সত্য ও সাহস। এককথায়—সততা।
যে সাংবাদিক দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে, কর্পোরেট লোভ বা হুমকির পরোয়া না করে জনস্বার্থে কথা বলে, তিনিই সত্যিকার সাংবাদিক। তার হাতেই থাকে সমাজ বদলের চাবিকাঠি।

সংঘর্ষ: নীরবতা বনাম বিবেক

বর্তমানে এই দুই বাস্তবতা—সুবিধাবাদ ও সততা—একটানা সংঘর্ষে লিপ্ত। একদিকে ‘পেইড নিউজ’, অন্যদিকে ‘জনগণের সংবাদ’। একদিকে ক্ষমতার কাছে মাথা নত করা, অন্যদিকে নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ানো।

এই সংঘর্ষে কারা টিকবে? তার উত্তর নির্ভর করছে আমাদের—পাঠক, নাগরিক, ও সাংবাদিক সমাজের সাহসী অংশের ওপর।
গণমাধ্যমের সামনে আজ চ্যালেঞ্জ—চুপ থাকবে, না কথা বলবে? মাথা নত করবে, না কলম তুলবে?সাংবাদিকতা যদি হয় ‘জনগণের পক্ষে বিবেকের আওয়াজ’, তবে নতজানুতা নয়, দরকার সততার সাহস।

❝আজকের কলম সৈনিকেরা যদি নতজানু হন, তবে আগামী প্রজন্ম সত্যের আলো পাবে না।❞

লেখক – গণমাধ্যম কর্মী।। 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা