বিশেষ প্রতিবেদক :
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা হলেও এখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিন ধরেই দলকে পেছনে ঠেলে দিয়েছে। নেতৃত্ব নিয়ে বিভাজন, গ্রুপিং, এবং একে অপরকে দমন করার প্রবণতা এখন ওপেন সিক্রেট। অথচ দলীয় হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি।
বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঢাকায় গিয়েও অভিযোগ করেছেন, লিখিত আবেদন দিয়েছেন, মিটিং করেছেন, কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গড়িমসি ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। যার ফলে মাঠের রাজনীতিতে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে।
এই অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে ভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো। আওয়ামী লীগ, জামায়াত এমনকি নতুন উদীয়মান ছোট দলগুলোও মেঘনার মাঠে সংগঠন বিস্তারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিএনপির অন্তর্কলহে হতাশ নেতাকর্মীদের কেউ কেউ পিছে ফিরে না তাকিয়েই চলে যাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দলে।
অন্যদিকে, তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ—কিছু সুবিধাবাদী ব্যক্তি দলের ব্যানার ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে। যারা আন্দোলনে নেই, মাঠে নেই—তারা-ই কেন্দ্রে যোগাযোগের সুবিধায় পদ-পদবি বাগিয়ে নিচ্ছে। এতে প্রকৃত পরিশ্রমীরা বঞ্চিত ও অবমূল্যায়িত হচ্ছেন।
আজ যখন জাতীয় নির্বাচন সামনে, তখন মেঘনার মতো সম্ভাবনাময় উপজেলায় বিএনপির এই বিভাজন দলের সার্বিক অবস্থানকে দুর্বল করছে। হাইকমান্ডের উদাসীনতা এখানে যেন চুপচাপ আত্মহত্যার শামিল। দ্রুত উদ্যোগ না নিলে শুধু আসন হারানো নয়, প্রজন্ম হারানোর ঝুঁকিও বাড়বে।
সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি—শুধু দরকার সৎ ইচ্ছা, পক্ষপাতহীন সমাধান এবং একটি কার্যকর সাংগঠনিক পুনর্গঠন।